অর্ণব আইচ: সন্দেশখালিতে ফেটেছিল মাথা। বনগাঁতেও তেড়ে এসেছিল উন্মত্ত জনতা। অভিযানে গিয়ে হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। এর পরই আরও সতর্ক হয়ে অভিযানের নির্দেশ দিলেন ইডি ডিরেক্টর রাহুল নবীন। অভিযানের আগে গ্রাউন্ড ওয়ার্কে জোর দেওয়ার পরামর্শও দিলেন। একইসঙ্গে অভিযানের সময় প্রয়োজন মতো অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার কথাও বলেছেন। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি ফের আধিকারিকদের উপর হামলার আশঙ্কা করছেন ডিরেক্টর?
সন্দেশখালি, বনগাঁর ঘটনার পরই কলকাতায় এসেছেন ইডির ডিরেক্টর। মঙ্গলবার দফায় দফায় বৈঠক করেছেন আধিকারিকদের সঙ্গে। সাক্ষাৎ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। পাশাপাশি বিএসএফ, সিআইএসএফ-র মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানেই অভিযানের সময় অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়। অর্থাৎ এবার থেকে শক্তি বাড়িয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ৭৮ বছরের সাজা, পাকিস্তানে জেল খাটছে হাফিজ সইদ! জানাল রাষ্ট্রসংঘ]
তল্লাশি চালানোর আগে এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান, টোপোগ্রাফির মতো বিষয়গুলি ভালো করে দেখে রাখতে হবে। জোর দিতে হবে গ্রাউন্ড ওয়ার্কেও। তবে যেভাবে অভিযানের সময় অতিরিক্ত বাহিনীর ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন ইডির ডিরেক্টর তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি আবারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে হামলার আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা?