সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপ মামলায় বেআইনিভাবে আয় করা ৫৮০ কোটি টাকা ‘ফ্রিজ’ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এছাড়াও তল্লাশি অভিযান চলাকালীন ১.৮৬ কোটি টাকা নগদ ও ১.৭৮ কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইডির তরফে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এই বেটিং সংস্থার বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় দিল্লি, কলকাতা, রায়পুর, ইন্দোর ও গুরুগ্রামে। ইডির দাবি, এই বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে অন্তত ৬০০০ কোটি টাকা আয় করেছে এই সংস্থা।
ছত্তিশগড় পুলিশের এফআইআরের পর মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার আগে এই অ্যাপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল বিশাখাপত্তনম পুলিশ ও অন্যান্য একাধিক রাজ্যের পুলিশ। ইডির তদন্তে জানা যায় দুবাই থেকে চালানো হচ্ছিল এই অ্যাপ। এছাড়া একাধিক দেশে আলাদা আলাদা নামে ফ্রাঞ্চাইসি নিয়ে চালানো হচ্ছিল অ্যাপটি। এর মাধ্যমে বেআইনিভাবে যে টাকা আয় করা হচ্ছিল তা ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ও হাওয়ালার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হচ্ছিল। কলকাতাতেও ছড়িয়ে ছিল এর শেকড়। কলকাতায় হরিশঙ্কর নামে এক ব্যবসায়ীর ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে এবিষয়ে একাধিক তথ্য ইডির হাতে আসে। ইডির দাবি, এখান থেকে আয় করা টাকা বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করা হয় দেশের শেয়ার বাজারে। হাওয়ালার লেনদেনকারী এই হরিশঙ্করের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেই সংস্থার সঙ্গে জড়িত একাধিক অ্যাকাউন্টে থাকা ৫৮০.৭৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
[আরও পড়ুন: মারাত্মক অভিযোগ! এবার সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানা পেটিএম ব্যাঙ্ককে]
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি অনুযায়ী, এই মামলায় ছত্তিশগড়ের একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি আমলা যুক্ত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ছত্তিশগড় ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, মুম্বই ও দিল্লির ১৫ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় একাধিক ভিভিআইপি রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও বলিউড অভিনেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।