অর্ণব আইচ: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। প্রায় সাড়ে তিনমাসের মাথায় ইডির হাতে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা। তবে ভয়েস ক্লিপের সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর মিলেছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে ইডির টার্গেট ছিল কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra) কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা। কিন্তু জেল হেফাজতে যাওয়ার পর থেকে একাধিকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। একাধিকবার হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, ধৃতের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, ফলে সেসময় তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: উত্তরে প্রকৃতির দুই রূপ, হাঁসফাঁস গরমে পুড়ছে সমতল, তুষারের চাদরে ঢেকেছে সিকিম]
অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে সিআরপিএফ জওয়ানের নিরাপত্তায় জোকা হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। ওদিকে, দুপুর থেকেই ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয় তাঁর গলার নমুনা সংগ্রহের জন্য। পিজি থেকে জোকা প্রায় ৪০ মিনিট পথ ফাইভ জি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। রাত ১০টা নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকেন তিনি। সেখানে রুটিন চেকআপের পর শুরু হয় ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া। টানা দুঘণ্টা কাউন্সেলিংয়ের পর অবশেষে ‘কাকু’কে ইএনটি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
কিন্তু তার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট পাচ্ছিল না ইডি। সম্প্রতি এ বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও। পরবর্তীতে রিপোর্ট চেয়ে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবে চিঠি পাঠায় ইডি। এবার অবশেষে ইডির হাতে রিপোর্ট।