অর্ণব আইচ: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের খোঁজে গিয়ে জখম হন তিন ইডি আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে মাথা ফাটে আধিকারিক রাজকুমার রামের। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধেই কী গত বছর দায়ের হয় এফআইআর? তাঁর বিরুদ্ধেই কী তদন্ত করছে সিবিআই? ভাইরাল হওয়া একটি এফআইআরের প্রতিলিপি নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠছে প্রশ্ন।
ওই এফআইআরের প্রতিলিপিতে দেখা গিয়েছে, রাজকুমার নামে ইডি কর্তার বিরুদ্ধে ২০১৬-২০২০ সালে মধ্যে অস্বাভাবিক হারে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ ওঠে। ২০২৬ সালে তাঁর সম্পত্তি ছিল ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা। ২০২০ সালে সস্ত্রীক ইডি কর্তার সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭ লক্ষ টাকা। তবে আয় সেভাবে বাড়েনি। ওই সময়ের মধ্যে রাজকুমারের আয় ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। আর ব্যয় ১ কোটি ১৬ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। তাঁর সম্পত্তির হিসাব অনুযায়ী বাড়তি ৩৭ লক্ষ ৫৮ হাজার কোথা থেকে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
[আরও পড়ুন: অক্ষয় মহারাজের আশীর্বাদ মাথায় বাংলাদেশে ভোটের লড়াইয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া]
আয়বৃদ্ধি না হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে সম্পত্তির পরিমাণ হু হু করে বাড়ল, তা খতিয়ে দেখতে মামলা করে সিবিআই। সম্পত্তির লাগামছাড়া বৃদ্ধির ফলে ওই ইডি কর্তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং আয়বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে মামলা রুজু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ এবং ১২০ (বি) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৩(২), ১৩ (১)(বি) ধারায় মামলা দায়ের হয়।
সন্দেশখালিতে মাথা ফেটে যাওয়া ইডি কর্তার নামও রাজকুমার রাম। প্রশ্ন উঠছে, গত বছর যাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছিল, সেই তিনিই কি জখম ইডি কর্তা রাজকুমার? নামে মিল থাকলেও, দুজন একই ব্যক্তি কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি। ইডি কিংবা সিবিআইয়ের তরফ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।