সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতির আখড়া ভাঙতে একযোগে ফের তৎপর সিবিআই-ইডি। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতি মামলায় সোমবার রাতে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর মঙ্গলবার সকাল থেকে স্কুল দুর্নীতি মামলার তদন্তে অ্যাকশনে নামল ইডি। দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা। নিউ আলিপুরের এক আবাসন এবং কসবার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে দেন বাড়িগুলি। দীর্ঘক্ষণ চলে তল্লাশি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ নিউ আলিপুরে হানা দেয় ইডির (ED) একটি দল। প্রায় একই সময়ে আরেক দল পৌঁছয় কসবার কায়স্থ পাড়ায়। ইডি সূত্রে খবর, নিউ আলিপুরে (New Alipore) বি ব্লকের নলিনী রঞ্জন অ্যাভিনিউতে ৮৮/১ বাড়িটি হল দক্ষিণ কলকাতার ওই নামী স্কুলের পরিচালন সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুশীল কুমার দাগার। সেখানে একদল গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। অন্যদিকে, কসবার (Kasba) কায়স্থ পাড়ায় কে কে মালব্যর বাড়িতে পৌঁছয় আরেক দল। দীর্ঘক্ষণ চলে তল্লাশি। বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নথিপত্রের খোঁজ করেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: ‘যত দ্রুত সম্ভব ছেড়ে দাও’, মেয়েদের নিরাপত্তায় পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর, ফুঁসে উঠলেন শুভেন্দু]
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ ওঠে। ট্রাস্টি বোর্ডের (Trustee board) একাংশের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হয় বলে অভিযোগ উঠতেই তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। মূল অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের নামে প্রায় ২০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) গ্রেপ্তার করে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানিকে। ইডির স্ক্যানারে ট্রাস্টি বোর্ডের আরও ৩ জন। এর মাঝে আর জি কর হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) কড়াকড়ির মাঝে ইডিও তদন্তে নামে স্কুল দুর্নীতি নিয়ে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলেই খবর।