সুব্রত বিশ্বাস: সাতসকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে ইডি। সঙ্গে রয়েছে সিআরপিএফের জওয়ানরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে শিল্পমন্ত্রীর বাড়ি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। নাম জড়িয়েছে একাধিক শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তির। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এই মামলায় আগে সিবিআই দপ্তরে হাজিরও দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকরা গিয়েই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত-সহায়ক, নিরাপত্তারক্ষীদের ফোন জমা নিয়ে নেন। সিআরপিএফ জওয়ান দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বাড়ি। জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা! সাময়িকভাবে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরানো হল প্রেসিডেন্সির অধ্যাপককে]
শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, এদিন পরেশ অধিকারীর বাড়িও গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হবে বলে খবর। এদিন রাজ্যের মোট ১৩ টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর। একুশে জুলাইয়ের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না।” ঠিক তার পরের দিনই রাজ্যের দুই মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক বলেই দাবি তৃণমূলের।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “একুশে জুলাইয়ের জনস্রোতে বিজেপি ভয় পেয়েছে, সেই কারণেই ইডি পাঠানো হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।” তলব প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক দু্র্নীতি জানতে ইডি, সিবিআই লাগবে না। যারা ভুক্তভোগী, তাঁরা পথে নেমে প্রতিবাদ করছে। তদন্ত চলছে, ক্ষমতা থাকলে প্রতিবাদ করুন।” এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “চাই না মমতা ভয় পান, কিন্তু পাচ্ছেন। তাই মোদিকে খুশি করার চেষ্টা করছে।”