অর্ণব আইচ ও সুমন করাতি: মঙ্গলবার সাতসকালে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ইডির হানা (ED Raid)। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা-সহ নানা প্রান্তে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক জায়গায় অভিযানে ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক দুর্নীতি মামলায় এই সক্রিয়তা ইডির।
বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ৩,২৭০ কোটি টাকার জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছিল। ওই বিপুল পরিমাণ টাকা তছনছের নেপথ্যে একাধিক ব্যবসায়ী ও অজানা ব্যক্তি রয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই টাকার সন্ধান মিলছিল না। সেই ঘটনার তদন্তের ভার গিয়েছিল ইডির কাছে। তার ভিত্তিতে মঙ্গলবার একযোগে একাধিক জায়গায় ইডির হানা বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন হুগলির বৈদ্যবাটি চ্যাটার্জি পাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি তদন্তকারী দল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে দুটি গাড়িতে করে চারজন ইডি আধিকারিক পৌঁছন। ওই ব্যক্তি কলকাতার ধর্মতলায় লোহার যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন। এর আগেও তাঁর বাড়িতে আয়কর দপ্তর থেকে তল্লাশি অভিযান চলেছিল। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে হাওড়ার বেলুড়, ঘুসুড়ির আবাসনেও চলে ইডির অভিযান।
অন্যদিকে, দমদম ক্যান্টনমেন্টের গোরাবাজার এলাকার এসপি মুখার্জি রোডে ইডি আধিকারিকরা অভিযান চালান। ওই এলাকার এক ব্যবসায়ী আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা ঋণ নিলেও তা শোধ করেননি। এদিন প্রথমে আধিকারিকরা ওই বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। পরে তাঁরা ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। কলকাতার নিউ আলিপুর ও গড়িয়াহাট এলাকায় তল্লাশি চালান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।