অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: দুর্গাপুজো মিটতেই দুর্নীতির জট ছাড়াতে ফের সক্রিয়ভাবে তদন্তে নেমেছে ইডি(ED)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের মোট ৮ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর আপ্ত সহায়কের একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চলছে। এই তালিকায় রয়েছে হাওড়ায় (Howrah) মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে। ডেলিভারি বয় থেকে কীভাবে সে প্রাসাদের মালিক হল, সে বিষয় খোঁজখবর নিচ্ছেন আধিকারিকরা। অভিজিতের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিজিৎ দাস মন্ত্রী, সরকারি আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠ। সেই কারণেই তিনি ইডির স্ক্যানারে বলে অনুমান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিজিত ডেয়ারির ডেলিভারি বয় ছিলেন। হাওড়া কদমতলার ভগবান চ্যাটার্জি লেনের বিশাল বাড়ি। কিন্তু কয়েকবছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। অভিজিৎ ডেয়ারির ডেলিভারি বয় ছিলেন। ঘরদোর বিশেষ ভালো ছিল না। মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানেই থাকতেন। কিন্তু বছর ১৫ আগে আচমকাই পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে একটু দূরে বিশাল বাড়ি বানান। এসব জানিয়েছেন অভিজিতের খুড়তুতো ভাই অয়ন। এর পর তিনি বাড়ির কাছে একটি ওষুধের দোকান খোলেন। সেই থেকে রমরমা ব্যবসা। মাঝে আইআরসিটিসি-র টেন্ডার নিয়ে চায়ের ব্যবসাও করেছিলেন।
[আরও পডুন: উৎসবেও রেহাই নেই! দাদুর সঙ্গে দশেরা অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘ধর্ষিতা’ ৩ বছরের শিশুকন্যা]
প্রতিবেশীরা আরও জানাচ্ছেন, রাতের দিকে প্রায়ই অভিজিতের বাড়িতে লাল বাতি, নীল বাতি নিয়ে গাড়ি আসত। অর্থাৎ তাঁর সঙ্গে বড় বড় নেতা-মন্ত্রীদের ভালো যোগাযোগ ছিল বলেই টের পেয়েছেন অনেকে। তাঁদের সূত্রেই কি আচমকা এত বিত্তশালী হয়ে উঠলেন অভিজিৎ? তাঁরা কারা? এত টাকার উৎসই বা কী? এসব খুঁজতেই তাঁর বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ছয় সদস্যের একটি দল তাঁর বাড়ি পৌঁছয়। অভিজিৎ বাড়িতেই রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।