সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে এবার সরাসরি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজয় মালিয়া। তাঁর মতে, ব্যাংকের ন’হাজার কোটি টাকা ঋণ নাকি মিটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাধ সাধে ইডি। তাদের জন্যই নাকি ঋণ শোধ করতে পারেননি। মুম্বই বিশেষ আদালতের কাছে সোমবার একথা জানিয়েছেন মালিয়া।
বর্তমানে ব্রিটেনে রয়েছেন বিজয় মালিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে ইডি ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগ এনেছে। এই নিয়েই মুম্বইয়ের পিএমএলএ আদালতে বিচারপতি এমএস আজমির এজলাসে চলছিল মামলা। সশরীরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না মালিয়া। সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, গত দুই থেকে তিন বছর ধরে ক্রমাগত তিনি ব্যাংকগুলিকে ঋণ মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। এই নিয়ে তিনি নাকি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু প্রতি পদক্ষেপে তাঁকে বাধা দিয়েছে ইডি। তিনি এও বলেছেন, বিচারব্যবস্থায় সাহায্য করতে তিনি সবসময় তৈরি। নিজেকে ব্রিটেনের আদালতে হাজির করতেও তাই দ্বিধা করেননি তিনি।
[ ‘ব়্যাঞ্চো’র সেই স্কুলে ঢুকতে পারবেন না পর্যটকরা, কেন? ]
কিছুদিন আগে বিজয় মালিয়া বলেছিলেন, দেশ ছাড়ার আগে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। তবে জেটলি সরাসরি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। মালিয়ার বিস্ফোরক উক্তির পর বেশ অস্বস্তিতেই পড়ে গেরুয়া শিবির। মালিয়ার বক্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, শুধু মালিয়া নয়, নীরব মোদি-মেহুল চোকসিদের দেশত্যাগের পিছনেও বিজেপির ইন্ধন রয়েছে। তিনি বলেন, নীরব মোদি এবং মেহুল চোকসি মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সেকারণেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। রাহুলের অভিযোগ, সরকার ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই দেশ ছেড়ে পালাতে পারছে তাঁরা। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট দাবি জানান, প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত। এর পূর্ণ তদন্ত হওয়া দরকার। আর যতদিন না তদন্ত হয়, ততদিন জেটলিকে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
[ সুপ্রিম নির্দেশে এবার দাগী অপরাধীদের ভোটে লড়তে বাধা রইল না ]