সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের (Kasba Fake Vaccine Case) তদন্তে তৎপর ইডি। বুধবার সকাল থেকে একাধিক জায়গায় তল্লাশি আধিকারিকদের। এদিন দেবাঞ্জন দেবের মাদুরদহের বাড়িতে আধিকারিকরা হানা দেন। এছাড়াও লেনিন সরনি, গড়িয়া, ওয়াটগঞ্জে হানা দেয় ইডি। চলে জোরদার তল্লাশি।
গত জুন মাসে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর্দাফাঁস হয়। যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী কসবার ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নেন। তবে তাঁর মোবাইল নম্বরে কোনও মেসেজ না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। গোটা বিষয়টি জানান কলকাতা পুরসভায়। আর তাতেই দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) কীর্তি সকলের সামনে আসে। জানা যায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় দেবাঞ্জন দেব। আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে সে। এই ঘটনার পরই কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয় শাসক-বিরোধী তরজা।
[আরও পড়ুন: LPG Price Hike: মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন, ১৫ দিনের মধ্যেই ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম]
দিনকয়েক আগে কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। চার্জশিটে দেবাঞ্জন দেব-সহ আটজনের নাম রয়েছে। দেবাঞ্জন দেব ছাড়াও নাম রয়েছে কাঞ্চন দেব, রবীন শিকদার, সুশান্ত দাস, শরৎ পাত্র, অরবিন্দ বৈদ্য, অশোককুমার রায় ও শান্তনু মান্নার। প্রত্যেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের সঙ্গে ঠিক কীভাবে জড়িত, তা ওই চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে। কলকাতা পুলিশের পেশ করা এক হাজার পাতার চার্জশিটে ১৩০ জনের সাক্ষ্য রয়েছে।
এবার এই ঘটনাতেই আরও তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পাশাপাশি রেমডেসিভিরের কালোবাজারির তদন্ত শুরু হয়েছে জোরকদমে। বুধবার সকালে দেবাঞ্জন দেবের মাদুরদহের বাড়িতে প্রথমে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। তারপর একে একে দেবাঞ্জন দেবের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। লেনিন সরণি এবং ওয়াটগঞ্জে দেবব্রত সাহুর বাড়িতেও হানা দেন আধিকারিকরা। চলে তল্লাশিও।