অর্ণব আইচ: রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান এবং রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) এবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রেশন দুর্নীতির বিপুল টাকার লেনদেন এবং হদিশ পাওয়া সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে দু জনকে। ইডি সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারির আগে জ্যোতিপ্রিয় যে সব বয়ান দিয়েছেন, সেই সব বয়ানের সঙ্গে ইডির পাওয়া নথিতে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ম্যারাথন তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর বনমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি (ED)। আজ তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। ইডি সোমবার বিশেষ আদালত খোলা পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়কে নিজেদের হেফাজতে চাইবে। বাকিবুর আপাতত ইডির হেফাজতেই আছেন। তবে তাঁর হেফাজতের মেয়াদ ২৮ অক্টোবর শেষ হয়ে যাচ্ছে। যার অর্থ খুব শীঘ্রই বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: হাতে রইল পেনসিল, একে একে রাজ্যপালের দুর্গারত্ন পুরস্কার ফেরাল ৪ পুজো কমিটিই]
ইডি সূত্রের খবর, গতকাল প্রায় ২১ ঘণ্টার তল্লাশিতে জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ি থেকে প্রচুর নথি পেয়েছে ইডি। মোবাইলের চ্যাট এবং কল লিস্ট থেকেও বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। ওই সব নথি ঘেঁটে রাজ্যের বনমন্ত্রীর প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যা কিনা নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের থেকে খুব একটা কম নয়। ইডি সূত্রের দাবি, ওই সম্পত্তির অধিকাংশেরই কোনও হিসাব দিয়ে পারেননি ‘বালু’। ইডির সন্দেহ রেশন দুর্নীতির অঙ্কটাও বিপুল। আর এই টাকার একটা বড় অংশের লেনদেন হত বাকিবুরের হাত দিয়ে।
[আরও পড়ুন: ‘খাদ্যদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ এখনও জ্যোতিপ্রিয়র হাতেই’, ইডি তল্লাশির মাঝেই বিস্ফোরক শুভেন্দু]
ইডি সূত্র জানাচ্ছে, বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়র একজন কমন হিসাবরক্ষক রয়েছেন। তাঁর মাধ্যমেই দুজনের মধ্যে লেনদেন হত। সেই সব লেনদেন সম্পর্কেও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি, তাঁরা একে অপরকে কী ভাবে চেনেন, দু’জনের সম্পর্ক কী, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। রেশন নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে কে কে জড়িত, টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা কী ভাবে হয়েছে সব নিয়েই প্রশ্ন করা হতে পারে বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়কে।