দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরেও বর্তমানে তৃণমূলেই যোগ দিয়েছেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম এবং বিষপানকারী পাঁচ শিক্ষিকা। ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানোর পর বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে বৈঠকে বসলেন তাঁরা। বিকাশ ভবনের এদিনের বৈঠকে বেশ কয়েকটি সমস্যার সমাধান হয়েছে বলেই দাবি শিক্ষামন্ত্রীর।
বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মূলত দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি করে দেওয়ার সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। বর্তমানে সাতজনের বেতন বন্ধ রয়েছে। তা নিয়েও আলোচনা হয় এদিন। শিক্ষামন্ত্রী বদলি রদ এবং বেতন চালুর আশ্বাস দেন। এদিন বৈঠক শেষে শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখেছি। এতদিন লড়াইয়ের পর আমরা জয় পেলাম।”
[আরও পড়ুন: শোকাহত রচনার পাশে মদন মিত্র, উপস্থিত অভিনেত্রীর বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে]
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের (SSK) পাঁচ শিক্ষিকাকে বহু দূরে বদলির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কলকাতা কিংবা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিশুশিক্ষা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে তাঁদের উত্তরবঙ্গে বদলি করে শিক্ষাদপ্তর। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। শিক্ষাদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েও লাভ না হওয়ায় তাঁরা বিকাশ ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন।
গত ২৪ আগস্ট আন্দোলনরত ওই ৫ শিক্ষিকা বিকাশ ভবনের সামনেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁদের মধ্যে পুতুল মণ্ডল-সহ ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালেও ভরতি করা হয়। বর্তমানে সকলেই সুস্থ রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়। তাঁদের বিরুদ্ধেই আইনভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। অন্যদিকে প্রতিবাদে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কালীঘাটের বাড়ির কাছে আদিগঙ্গায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মইদুল ইসলাম। গত ২১ নভেম্বর ডায়মন্ড হারবারে ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতেই তৃণমূলে যোগ দেন মইদুল ইসলাম, বিষপানকারী ৫ শিক্ষিকা-সহ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের কয়েক হাজার সদস্য।