দীপঙ্কর মণ্ডল: বিভিন্ন প্রশাসনিক নীতি নিয়ে দুই তরফে বিরোধ যখন তুঙ্গে সেই আবহে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে দেখা করলেন শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বৃহস্পতিবার রাজভবনে শিক্ষামন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। শিক্ষা সংবিধানের যৌথ তালিকায় থাকা সত্ত্বেও আলোচনা না করে মাঝেমাঝেই কেন্দ্র বিভিন্ন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় বলে বারবার অভিযোগ করে রাজ্য সরকার। তবে এ বিষয়ে এদিন কোনও কথা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে মুখ খোলেননি শিক্ষামন্ত্রী।
ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজভবনে বৈঠক করেছি। রাজ্যের শিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে।” একদিকে সাংবিধানিক প্রধান, অন্যদিকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের দায়িত্বও পালন করেন রাজ্যপাল। উপাচার্য নিয়োগ-সহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিভিন্ন নীতির রূপায়নেও উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে সুপারিশ করে থাকেন তিনি। তবে রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়েও সরকারের সঙ্গে ধনকড়ের বহুবার বিরোধ হয়েছে। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর অবসরের পর মেয়াদ বৃদ্ধিতে রাজভবনের সম্মতি ছাড়াই উচ্চশিক্ষা দপ্তর পদক্ষেপ করেছে।
[আরও পড়ুন: COVID-19 : রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ পার, একদিনে মৃত ২৭]
তবে এদিন রাজ্যপাল বা শিক্ষামন্ত্রী, কোনও তরফেই কোনও নীতিগত বিরোধের কথা জানানো হয়নি। উভয়পক্ষ এদিনের বৈঠককে সন্তোষজনক বলে জানিয়েছে। বৈঠক শেষে ধনকড় টুইট করে বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রায়চৌধুরীর সঙ্গে এক ঘণ্টার সদর্থক বৈঠক হয়েছে। রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে।”