স্টাফ রিপোর্টার: রেশনে ভর্তুকি বাবদ এখনও ১২ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা দিল্লির কাছে প্রাপ্য রাজ্যের। গত ২৫ অক্টোবর এই নিয়ে কেন্দ্রকে ফের একবার জানিয়ে চিঠি দেয় নবান্ন। সম্প্রতি রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা মন্ত্রকের গণবন্টন বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা জয় পাটিলকে চিঠি পাঠিয়েছেন। রেশন অর্থাৎ খাদ্যে গণবন্টন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য ওই টাকা প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও চিঠির সদুত্তর মেলেনি বলেই খবর। যা পরিস্থিতি তাতে টাকা না পেলে রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
খাদ্যদপ্তর সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে রাজ্যের ৬ কোটি রেশন গ্রাহককে চাল-গম সরবরাহ করে থাকে সরকার। গমের জন্য খরচ বহন করে কেন্দ্রীয় সংস্থা এফসিআই। আর রাজ্য সরকার চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে রাইস মিলে পাঠায় চাল উৎপাদনের জন্য।
কিন্তু ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে কেন্দ্র এই খাতে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন। একাধিকবার কেন্দ্রের এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও বকেয়া টাকা দেওয়ার ব্যাপারে টুঁ শব্দ করেনি কেন্দ্র। এমনিতেই একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনায় কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগও উঠেছে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার কথাও বলেছেন। তবুও বকেয়ার সম্পূর্ণ অর্থ মেলেনি। তারই মাঝে এবার রেশনের কেন্দ্রীয় ভর্তুকি আটকে রেখেও রাজনীতি করার অভিযোগে উঠল কেন্দ্রের বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে।