গোবিন্দ রায়: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও কড়া কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির দাবি, অবিলম্বে ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করুক পর্ষদ। বেআইনিভাবে নিযুক্তদের নিয়োগ বাতিল না হলে প্রয়োজনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এজলাসে হাজিরার নির্দেশের হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
দু’দফায় বেআইনিভাবে সুপারিশ করা নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় থাকা মোট ১৮৪ জনের মধ্যে ৮১ জন বর্তমানে চাকরি করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জন শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের ওএমআর শিট। ওই ন’জনকে নিয়ে বৈঠক করতে হবে। উপস্থিত থাকবেন ন’জনের আইনজীবী, কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের আইনজীবী। আগামী সপ্তাহে বুধবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আসানসোল দুর্ঘটনা: ‘FIR ছাড়া আমি গ্রেপ্তার হয়েছিলাম, শুভেন্দুকেও করা হোক’, সরব কুণাল]
শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসিকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কার সুপারিশে চাকরি পেলেন? কে কে সুপারিশ করেছিলেন? জুনিয়র নাকি সিনিয়র পি সি সরকারের হাতের জাদুতে নম্বর বাড়ল?” এদিন নিয়োগ বাতিল করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় কমিশন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নাম উল্লেখ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, করুন। কোথায় বাধা? যদি পর্ষদ কিছু করতে না পারে তাহলে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে পাঠাতে হবে।”
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আগেই ছেড়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তারপরই গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একে একে সিবিআই ও ইডি’র জালে ধরা পড়েছেন নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অন্যতম রাঘববোয়ালরা। এবার কি তবে ব্রাত্য বসুকেও তলব করা হবে হাই কোর্টে? বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর স্বাভাবিকভাবেই সেই জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে।