স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতার দুই প্রধানের আন্দোলন হয়তো মর্যাদা পেতে চলেছে। আইএসএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি কমানোর ভাবনা শুরু করেছে এফএসডিএল। এবং তা হলে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের সঙ্গে আইএসএলের সব ফ্র্যাঞ্চাইজি এই সুবিধা পাবে। সংগঠকরা চাইছে দুই প্রধানকে নিয়েই সামনের মরশুমে আইএসএল শুরু করতে। কলকাতার দুই প্রধান অনেকদিন ধরেই দাবি তুলে আসছে, আইএসএলের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে তাদের ক্লাবের ঐতিহ্যকে এক করলে চলবে না। অন্যদের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি নিলেও তাদের কাছ থেকে নেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে আই লিগের আটটি ক্লাব দাবি তুলেছে, আইএসএল-আই লিগের ক্লাবগুলিকে এক সঙ্গে নিয়ে একটাই লিগ হোক। তার জন্য ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেলের সময় চেয়েছেন ক্লাব প্রতিনিধিরা।
[একটাই লিগ চেয়ে ফেডারেশনকে চিঠি আই লিগের আট ক্লাবের]
আপাতত এটাই ভাবনা, এই ইস্যুতে ফেডারেশন সভাপতির ইচ্ছে নেই ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার। এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সামনের মরশুমে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ দেশের ‘এক নম্বর’ লিগ হবে। কলকাতার দুই প্রধান না খেললেও হবে। না হলে এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের আওতায় পড়বে ফেডারেশন। ক্লাব প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তুলেছেন, আইএসএল এবং আই লিগ নিয়ে কিছুদিন আগে ফিফা এবং এএফসি প্রতিনিধিরা রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট কেন ক্লাবের সামনে আসবে না।
ফেডারেশন কর্তারা বলছেন, ফিফা এবং এএফসির থেকে যে কমিটি হয়েছিল, তারা আইএসএল-আই লিগ নিয়ে শুধু পরামর্শ দিয়েছিল। ফেডারেশনকে তা মানতে হবে, এরকম নির্দেশিকা নেই। তাদের পরামর্শ মাথায় রেখে নিজেদের মতো করে লিগের পরিকাঠামো তৈরি করবে ফেডারেশন। তাই এখনই আইএসএলে অবনমন আনা সম্ভব নয়। বিপুল আর্থিক দায়ভার নেওয়া আইএসএলের কোনও দল যদি দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যায়, তাহলে সেই দল উঠে যেতে বাধ্য। সেই জায়গায় দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে যে দলকে আনা হবে তাদের হয়তো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। তাই অবনমন আনলে আইএসএলে ভারসাম্য নষ্ট হবে। তবুও আই লিগের ক্লাবগুলির দাবি দেখে ফেডারেশন যোগাযোগ করে আমেরিকার মেজর লিগ সকারের কর্তাদের সঙ্গে। জানতে চান, কেন তারা লিগে অবনমন আনছেন না? মেজর লিগ সকারের কর্তাদের বক্তব্য, যতক্ষণ না দেশের ক্লাবগুলি আর্থিক ভাবে শক্তিশালী না হবে, ততক্ষণ অবনমন চালু করা যাবে না। তাই আই লিগের ক্লাবগুলি যতই একটা লিগ চালু করে চ্যাম্পিয়নশিপ আর অবনমন প্রথা চালু করার দাবি তুলুন, তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
[কাশ্মীর ম্যাচ বয়কটের শাস্তি, তিন পয়েন্ট খুইয়ে আদালতের দ্বারস্থ মিনার্ভা পাঞ্জাব]
এফএসডিএল এবং ফেডারেশন এখন ব্যস্ত কীভাবে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানকে আইএসএলে এনে পরের মরশুম থেকে আইএসএল করা যায়। শোনা যাচ্ছে এই ব্যাপারে স্বয়ং নীতা আম্বানি না কি উদ্যোগী হয়েছেন। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি কমিয়ে দুই প্রধানকে আইএসএলের অন্তর্ভুক্তি করা নিয়ে আলোচনা চলছে। এরপরও সমগ্র প্রক্রিয়া আটকে আছে মোহনবাগানের জন্য। যা মেটাতে আসরে নামছেন এফএসডিএল কর্তারা। এদিকে ঠিক হয়েছে, এই মাসের শেষের দিকেই জাতীয় দলের কোচের জন্য বিজ্ঞাপন দেবে ফেডারেশন।
The post দুই প্রধানকে আইএসএলে খেলানোর মরিয়া চেষ্টা! কমছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি appeared first on Sangbad Pratidin.