সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থিয়োরি অফ রিলেটিভিটি। অর্থাৎ আপেক্ষিকতাবাদ। গোটা দুনিয়াকে বদলে দেওয়া সেই বিখ্যাত তত্ত্বের জনককে সারা বিশ্ব একডাকে চেনে। অ্যালবার্ট আইস্টাইন (Einstein)। এবার সেই থিয়োরির উৎস যে পাণ্ডুলিপি তা বিক্রি হল অবাক দামে! প্যারিসে (Paris) নিলামে চড়ানো হয়েছিল বিরল ওই পাণ্ডুলিপিটি।
৫৪ পাতার ওই পাণ্ডুলিপিটি ঘিরে নিলামের শুরু থেকেই কৌতূহল ছিল। মনে করা হচ্ছিল, সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলারের মতো দাম উঠতে পারে ওই পাণ্ডুলিপির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই আন্দাজকে একেবারেই ভুল প্রমাণ করে তা বিক্রি হল ১৩ মিলিয়ন ডলারে! অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৯৬ কোটি ৭৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকায়। ব্রিটিশ নিলাম সংস্থা ‘ক্রিস্টিজ’ অবশ্য জানিয়েছে, কে ওই পাণ্ডুলিপিটি কিনলেন তা গোপন রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Primary TET: সুখবর! রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল বোর্ড]
কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই পাণ্ডুলিপি? ক্রিস্টিজ জানাচ্ছে, আইনস্টাইন তাঁর কাজের প্রাথমিক খসড়া আলাদা করে সংরক্ষণ করতেন না। কাজ মিটলেই সেটির অবস্থান হত বাজে কাগজের ঝুড়িতে। এই পাণ্ডুলিপিটিরও সেই অবস্থাই হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মহাকর্ষ সম্পর্কে চিরকালীন ধারণাকে আমূল বদলে দেবে যে তত্ত্ব, তারই আগাম গবেষণার সাক্ষী হিসেবে ওই ৫৪ পাতার পাণ্ডুলিপিটির গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রিস্টিজের দাবি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক নথি। আইনস্টাইনের লেখা আর কোনও পাণ্ডুলিপির এতটা দর ওঠেনি এর আগে।
তবে পাণ্ডুলিপিটির পুরোটাই আইনস্টাইনের নিজের হাতে লেখা নয়। ২৬ পাতা লিখেছিলেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। বাকিটা লিখেছিলেন তাঁর বন্ধু মিশেল বেসো। শেষ পর্যন্ত বেসোর উদ্যোগেই সংরক্ষিত হয়েছিল পাণ্ডুলিপিটি। জ্যোতির্পদার্থবিদ এটিন্নে ক্লেইন জানিয়েছেন, এই পাণ্ডুলিপি থেকে পরিষ্কার, রাতারাতি তাঁর জগদ্বিখ্যাত থিয়োরিকে প্রমাণ করতে পারেননি আইনস্টাইন। সেই সত্যের কাছে পৌঁছতে যে দীর্ঘ পরিশ্রম করতে হয়েছিল তারই প্রমাণ ছড়িয়ে রয়েছে ওই পাণ্ডুলিপির পাতায় পাতায়।
[আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘বেনিয়ম’, ফের মামলা কলকাতা হাই কোর্টে]
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে ক্রিস্টিজের তত্ত্বাবধানে বিক্রি হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা একটি ছবি। তবে ছবিটি কে কিনেছেন সেটিও অবশ্য ব্রিটিশ সংস্থার তরফে জানানো হয়নি।