টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: পড়ুয়াদের 'তরুণের স্বপ্ন' নিয়ে আর্থিক দুর্নীতি। বহু টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ জেলা স্তরে। দুর্নীতির জাল কতদূর বিছনো, তা জানতে ইতিমধ্যে SIT গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত। গ্রেপ্তারও হয়েছে ১১ জন। কারা পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা এভাবে তছরূপ করছে? তাদের সঙ্গে বড়সড় কোনও প্রতারণা চক্রের যোগ আছে কি না, সেসব নিয়ে প্রশ্ন তো উঠছেই। আর সেই প্রশ্ন তুলতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। বললেন, ''আমাদের দেশে তো শুটআউটের আইন নেই। নাহলে যারা এসব করছে, তাদের গুলি করে মারা উচিত।''
ট্যাবের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের কারও কারও তৃণমূল যোগ উঠে এসেছে তদন্তে। তা নিয়ে অরূপ চক্রবর্তীর সাফ বক্তব্য, ''তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা তো এই টাকা বিলি করে না। টাকা সরকারিভাবে বিলি হয়। ছাত্রদের নাম, ছাত্রদের অ্যাকাউন্ট নম্বরে। সে তো সরকারের কাছে আবেদন করেছে। তাহলে কি অফিসারদের তরফে এসব হচ্ছে? নাকি ব্যাঙ্কের ভুল? সেটা দেখতে হবে। আর যারা এসব করছে, আমাদের দেশে গুলি করার অর্ডার নেই, ফাঁসির অর্ডার আছে। এদের তো এই ধরনের শাস্তিই হওয়া উচিত। যারা সরকারের বদনাম করে, যারা ছাত্রদের প্রতারণা করে, তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।'' এর পরই তাঁর মুখে শোনা যায় 'গুলি করে মারা'র নিদান।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অরূপ চক্রবর্তীর আরও বক্তব্য, ''তদন্ত চলছে। কারা দোষী, তাদের নাম যত তাড়াতাড়ি বের হয়, তত ভালো। এসব লোকদের প্রকাশ্যে এনে মুখ দেখানো উচিত। যাতে মানুষ এই প্রতারকদের চিনে রাখে, ঘৃণা করে। সরকার টাকা দিচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের জন্য, আর যারা সেই টাকা নিয়ে জালিয়াতি করছে, তারা তো ঘৃণ্য।'' যদিও তাঁর এসব মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে জেলায়। অনেকেই বলছেন, অভিজ্ঞ রাজনীতিক ও একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কীভাবে এমন কথা বলছেন?