রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ভাত না পাওয়ায় দাদাকে খুন নাবালক ভাইয়ের! দেহ লোপাটের চেষ্টায় বাড়িতেই প্রায় চারফুট গভীর গর্তও খোঁড়ে বলে অভিযোগ। দেহ পোঁতার সময় এক প্রতিবেশী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের শামুকতলার বসতিতে। অভিযুক্তকে জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বাবুলাল কুজুর। তিনি শামুকতলার কার্তিকা হরগৌরী বসতির বাসিন্দা। ছোট ভাই বিমান তাঁর সঙ্গেই থাকত। পেশায় দিনমজুর বাবুলাল ছোট ভাইয়ের দেখভাল করতেন। প্রায় দিন তিনিই রান্না করতেন। সোমবার রাতে রান্না করে আগে খেতে বসেন বাবুলাল। অভিযোগ, সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি এসে খেতে চায় বিমান। দাদাকে ধাক্কা দিয়ে খাবার থেকে উঠিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে। তখন বাবুলাল বিমানকে মারধর করে বলে অভিযোগ। রাগে বিমান ঘরে থাকা ইট দিয়ে বাবুলালের মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। দাদা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও ক্ষান্ত হয়নি সে। পাশেই থাকা বড় পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয় অভিযুক্ত।
আরও অভিযোগ, দাদার মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে দেহ লোপাটের চেষ্টা করে অভিযুক্ত। কিন্তু সারা রাত মাটি খুঁড়ে দেহ পোঁতার সময় দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী। তিনি শামুকতলা থানায় খবর দেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এক আত্মীয় কৃষ্ণা কের্কেটা বলেন, "ওরা দুই ভাই একসঙ্গে থাকত। বিমান রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে যায়। সেই সময় ঝামেলা বাধে। সকালে পুলিশ এলে গিয়ে দেখি বাবুলালের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।"