সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদ্রাজ হাই কোর্টের পর এবার করোনা কালে নির্বাচন নিয়ে সরব হল এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad HC)। মাদ্রাজ হাই কোর্ট তামিলনাড়ু-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিল। কার্যত একই সুরে উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টও বিঁধল নির্বাচন কমিশনকে। সরকারকেও বিঁধতে ছাড়েননি বিচারপতি। এলাহাবাদ হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বক্তব্য, ভোটের পরে করোনার জন্য কী বিপর্যয় হতে পারে, সেটা বুঝতেই পারেনি নির্বাচন কমিশন, উচ্চ আদালত বা সরকার।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মার পর্যবেক্ষণ ভোট পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতই ছিল না যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) উত্তরপ্রদেশ সরকার। বিচারপতি বলেন,”শহরাঞ্চলে সংক্রমণ মোকাবিলায় রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে যোগী সরকার। গ্রামীণ এলাকার নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমণের উৎস সন্ধান ও আক্রান্তদের চিকিৎসাও অত্যন্ত কঠিন কাজ। অথচ, এসবের জন্য প্রস্তুতই ছিল না প্রশাসন।” উত্তরপ্রদেশে সদ্যই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচন (UP Panchayat Elections) চলাকালীন গ্রামীণ এলাকায় অনেক এফআইআর দায়ের হয়েছে। আদালতের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া অনেক ব্যক্তিই সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন।তাঁদের থেকে আরও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন আয়োজন এবং ভোটের পরে সরকারের ভূমিকায় চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।
[আরও পড়ুন: বিহার-উত্তরপ্রদেশের পর এবার মধ্যপ্রদেশের নদীতে ভেসে উঠল মৃতদেহ, আতঙ্কে স্থানীয়রা]
এদিকে পৃথক একটি মামলায় নির্বাচন কমিশন এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে আদালত আরজি জানিয়েছে, যে সমস্ত ভোটকর্মীর করোনায় মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের জন্য অন্তত ১ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়া হোক। আদালতের বক্তব্য, এই সমস্ত ভোটকর্মীদের কোনওরকম নিরাপত্তা ছাড়াই ভোটের ডিউটি করতে বাধ্য করেছে কমিশন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যু হলে, কী সমস্যা যে হয় সেটা বুঝে এই ক্ষতিপুরণের পরিমাণ অন্তত এক কোটি করা উচিত আদালতের। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডিউটি করতে গিয়ে সাতশোর বেশি শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।