সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন দফার ভোট একসঙ্গে নয়, ভোট হবে সূচি অনুযায়ী। জল্পনা উড়িয়ে জানিয়ে দিল দিল্লি নির্বাচন কমিশন (Election Commisssion)। সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI) সূত্রে খবর এমনই। বুধবার রাত থেকে জল্পনা চলছিল, ১৭ তারিখের পঞ্চম দফা ভোটের পর ২২, ২৬ ও ২৯ তারিখের ভোট হবে একদফায়। শোনা যাচ্ছিল, ২৪ এপ্রিল হতে পারে ভোট। করোনা আবহে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ কমাতেই এই পরিকল্পনা। তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চা এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল। তবে বিজেপির তরফে এই প্রস্তাব নিয়ে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর থেকে বিভিন্ন জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেন নবনিযুক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। বৈঠকে ছিলেন ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈন। সূত্রের খবর, একদফায় নয়, পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে ১৭ তারিখের পর আরও ৩ দফায় ভোট হবে।
দেশজুড়ে করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা ক্রমশই গুরুতর হচ্ছে। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। এই আবহে বঙ্গে ৮ দফায় ভোট চলছে। ১৭, ২২, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল বাকি দফাগুলির ভোটগ্রহণ পর্ব। বুধবার থেকে জল্পনা উঠেছিল – ১৭ তারিখের ভোট বাদ দিলে বাকি তিনদিনের ভোট একসঙ্গে ২৪ তারিখ হতে পারে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই জল্পনা উড়িয়ে দিল কমিশন। জানানো হল, পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই বঙ্গে বাকি দফাগুলোয় ভোট হবে। আসলে এই মুহূর্তে এক দফায় ভোট করাতে হলে কমিশনের আগের সমস্ত বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। সময় লাগবে তাতে। সেই জটিলতা এড়াতেই ভোটের সূচি অপরিবর্তিত রাখা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নিজের গড়েই ভরল না মাঠ, কান্দিতে প্রায় ফাঁকা ময়দানেই সভা অধীরের]
কমিশন সূত্রে আরও খবর, তিনদফার নির্বাচন একদফায় করাতে হবে অন্তত ১৫০০ অতিরিক্ত আধাসেনা প্রয়োজন। আরও বেশি পুলিশ পর্যবেক্ষকও দরকার। সূত্রের খবর, আরও ২০ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক প্রয়োজন ছিল। তবে আপাতত আগামী চার দফা ভোটের জন্য ১১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যদিকে, করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে কীভাবে ভোটের প্রচার হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফে মাত্র ১ জন করে প্রতিনিধি হাজির থাকবেন।