shono
Advertisement

ভোট ঘোষণা হতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে বড়সড় রদবদল কমিশনের

দুই জেলায় হঠাৎই বাড়তি বাহিনী মোতায়েন।
Posted: 08:52 AM Mar 02, 2021Updated: 09:06 AM Mar 02, 2021

শুভঙ্কর বসু: ভোট ঘোষণা হতেই অভিযোগের বহর! জাতীয় নির্বাচন কমিশনের রাজ্য শাখা তথা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে জমা পড়েছে ২৮৬টি অভিযোগ। অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, “এরমধ্যে ১৮৪টি অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে। এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণও শুরু হয়ে গিয়েছে।”

Advertisement

এদিকে, এদিনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনায় রদবদল ঘটাল কমিশন (Election Commission)। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলির নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় হিংসা উত্তেজনার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে এবার দুই ২৪ পরগনায় আরও বেশি সংখ্যক বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শুধু দুই ২৪ পরগনার জন্য ১৮ কোম্পানি বাহিনী নিয়োগ করেছে কমিশন। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার তিনটি বিভাগ বসিরহাট, বনগা, বসিরহাট ও বারাকপুরের জন্য ১৪ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ ছিল।

ওদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারুইপুর, সুন্দরবন ও ডায়মন্ড হারবারের জন্য মাত্র ৬ কোম্পানি বরাদ্দ করেছিল কমিশন। কলকাতাতেও ৩ থেকে বাহিনী সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৬ কোম্পানি করা হয়েছে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে উত্তর কলকাতার নির্বাচনী আধিকারিক পিয়ালি সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, উত্তর কলকাতায় মোট ১৭ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কমিশনের নির্দেশ মতো উত্তর কলকাতায় উপর তলায় থাকা সমস্ত বুথ নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে। উত্তর কলকাতায় মোট ৭৯১টি বুথ হয় দোতলা নয়তো তিন তলায় ছিল। সবক’টিকে নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘সভ্যতা’ বাঁচানোর লড়াই, বিজেপিকে রুখতে ‘মমতাদিদি’র পাশেই তেজস্বী]

পিয়ালিদেবীর কথায়, “সেক্ষেত্রে এবার ১৫০টি অস্থায়ী বুথ থাকছে। সেগুলি প্লাইউড ও টিনের মতো সামগ্রী ব্যবহার করে গড়বে রাজ্য পূর্ত দপ্তর।” কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এসব বুথের নিরাপত্তা নিয়ে। কারণ প্লাইউড ও টিনের মতো সামগ্রী উচ্চমাত্রায় জ্বলনশীল। এবিষয়ে কোনও তরফে কোনও সুস্পষ্ট বক্তব্য মেলেনি। যদিও উত্তর কলকাতায় ভোটের ম্যাসকট ঠিক হয়ে গিয়েছে। এবার এখানে ভোটের ম্যাসকট হাতে টানা রিক্সা। পাশাপাশি উত্তরে ভোটের হার বাড়াতেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পিয়ালি সেনগুপ্ত।

এদিকে, ভোটের (Assembly Election) হাওয়া যত গরম হবে অভিযোগের সংখ্যাও ততই বাড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। অভিযোগ জানানোর জন্য এবারও ‘সি ভিজিল’ অ্যাপেই ভরসা রাখছে কমিশন। এই অ্যাপের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ থেকে যে কোনও ঘটনা সম্পর্কে আপত্তি থাকলে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারেন। এই অ্যাপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল অভিযোগকারী চাইলে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে পারেন। পাশাপাশি মোবাইলে ছবি বা ভিডিও তুলে প্রমাণ-সহ অভিযোগ জানানো যায়। অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু ভোটে অভিযোগ জানানোর জন্য সাধারণ মানুষকে এই অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও সি ভিজিলের অপব্যবহারও কম হয়নি। গত লোকসভা নির্বাচনেই তার প্রমাণ মিলেছে। নির্বাচন মিটে গেলে দেখা যায় যে সংখ্যক অভিযোগ জমা পড়েছিল তার প্রায় ৩৯ শতাংশর সারবত্তা নেই। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

[আরও পড়ুন: করোনার জন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমেছে ভারত-সহ একাধিক দেশের, দাবি বিশ্ব ব্যাংকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার