নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: নন্দীগ্রামে মমতার উপর হামলা হয়নি। দুর্ঘটনার জেরেই পায়ে চোট পেয়েছেন মমতা। পর্যবেক্ষকদের মতামতকেই সিলমোহর দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে তেমনটাই খবর। বরং কমিশনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের গলদেই জখম হয়েছেন তিনি। বাংলায় নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের মতামত এবং মুখ্য সচিবের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলে খবর।
নন্দীগ্রামে ভোটপ্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জখম হওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব ও সিইও-র কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে দুই বিশেষ পর্যবেক্ষককে নিজেদের মতামত জানানোর কথাও বলা হয়েছিল। তাঁদের রিপোর্ট নিয়ে রবিবার কমিশনের ফুলবেঞ্চ বৈঠকে বসে বলে খবর। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিবেক দুবে। তাঁরা নন্দীগ্রামে গিয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন বলে সূত্রের দাবি। এর পরই শনিবার নিজেদের মতামত নির্বাচন কমিশনকে জানান তাঁরা। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীর উপর পরিকল্পিত হামলার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন দুই পর্যবেক্ষকই। বরং তাঁদের দাবি, সেই সময় কড়া পুলিশি বেষ্টনীতে ছিলেন মমতা। আর এদিন কমিশন জানিয়ে দিল, নিরাপত্তারক্ষীদের গলদের জেরেই আঘাত পেয়েছিলেন মমতা।
[আরও পড়ুন : ‘আহত বাঘ আরও ভয়ংকর’, হাজরায় হুইলচেয়ারে বসেই হুঙ্কার মমতার]
উল্লেখ্য, গত বুধবার নন্দীগ্রামে পায়ে চোট পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিযোগ তুলেছিলেন, গাড়ির সামনে ভিড়ের চাপে তাঁকে কেউ বা কারা ধাক্কা দেওয়ার ফলেই তাঁর পায়ে লেগেছে। প্রায় একই অভিযোগের সুর শোনা গিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্বের গলায়। কমিশন সূত্র বলছে, মুখ্যসচিবের দেওয়া রিপোর্টেও তেমন কিছু উল্লেখ নেই। রিপোর্ট অনুযায়ী, গাড়ির দরজা বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে, একটি খুঁটির কথাও উল্লেখ রয়েছে। তবে কেউ বা কারা মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিয়েছিলেন কি না, তার কোনও কথা উল্লেখ নেই বলেই জানা গিয়েছে। ফলে কীভাবে আচমকা গাড়ির দরজা বন্ধ হল কিংবা তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে লেগেছে কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই মুখ্যসচিবের কাছে দু-একটি প্রশ্নের উত্তর নির্দিষ্টভাবেই পুনরায় জানতে চায় কমিশন। এর মাঝে কমিশনে নিজেদের মতামত জানায় দুই পর্যবেক্ষকও। সেই সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার পরই দুর্ঘটনার তত্ত্বেই সিলমোহর দিল কমিশন।