সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে লোকসভা নির্বাচন। গোটা ভোটপর্বে খুশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। তবে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে চিন্তা থাকছেই, জানালেন তিনি। যদিও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথভাবে পরিস্থিতি সামলে নেবে বলেই আশাবাদী তিনি। সেই কারণেই ফলপ্রকাশের পরও ১৫ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রথম থেকেই কমিশনের লক্ষ্য ছিল শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। সেই কারণে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটলেও অন্যান্যবারের তুলনায় এবার মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে ভোট। বাংলার নির্বাচন নিয়ে খুশি বলেই জানালেন রাজীব কুমার। তিনি বলেন, "বুলেট নয় ব্যালটেই গুরুত্ব দিয়েছে বাংলার মানুষ।" কিন্তু ভোট মেটার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। রবিবার রাতে উত্তর কাশীপুর থানার মাঝেরআইটে নতুন করে বোমাবাজি হয়। কুলতলিতেও মিলেছে অশান্তির খবর। বাড়়িতে ঢুকে তৃণমূলের মহিলা সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। নিউটাউনে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই আক্রান্ত হন এক তৃণমূল কর্মী। ফলে ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়ে চিন্তা থাকছেই।
[আরও পড়ুন: মোদির প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত মিলতেই চাঙ্গা শেয়ার বাজার, সূচক বাড়ল ২০০০ পয়েন্ট]
এ প্রসঙ্গে রাজীব কুমার বলেন, ‘‘আমরা আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী, হিংসা হবে না। তবে যদি হয়, তা মাথায় রেখে কয়েকটি রাজ্যে সিআরপিএফ থাকবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে রাজ্য সরকার এবং সিআরপিএফ ভোট পরবর্তী হিংসা হতে দেবে না।’’ প্রসঙ্গত, রবিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, যেসব এলাকায় ছোটখাটো অশান্তির পরিবেশ, আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা, সেখানে থাকবে বাহিনী।