সুদীপ রায়চৌধুরী: লোকসভা ভোট ঘোষণার ঠিক আগে বিরাট চাঞ্চল্য। পদত্যাগ করলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল (Election Commissioner Arun Goel)। ইতিমধ্যে গোয়েলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। কী কারণে পদত্যাগ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ভোট ঘোষণার আগে আচমকা পদত্যাগে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে।
সূত্রের খবর, আগামী শনিবার লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের পর ওই দিন পিছোতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশনে একজন কমিশনারের পদ আগেই শূন্য ছিল। গোয়েলের পদত্যাগে শূন্যপদের সংখ্যা হল দুই। বর্তমান কেবলমাত্র মুখ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার রয়ে গেলেন নিজের পদে।
প্রসঙ্গত, গোয়েল ১৯৮৫-র ব্যাচের আইএএস অফিসার। গত ১৮ নভেম্বর, ২০২২-এ স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন। যদিও একদিন পরেই নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হন তিনি। এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। সরকারের কাছের লোক বলেই তাড়াহুড়ো, এটাই ছিল বিরোধী দলগুলির বয়ান। এই নিয়োগের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা উঠেছিল। শীর্ষ আদালত সরকার পক্ষের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছিল- ‘এত তাড়া কীসের?’ কয়েক দিন আগেই কলকাতায় এসেছিলেন গোয়েল। যদিও অসুস্থতার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনে গরহাজির ছিলেন। তবে কি অসুস্থতার কারণেই পদ ছাড়লেন তিনি?
[আরও পড়়ুন: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, মোদির মঞ্চ থেকে লড়াইয়ের ডাক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]
অরুণের পদত্যাগ নিয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূলের (TMC)। রাজ্যসভার সাংসদ সকেত গোখেল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, মোদি এবার তিন জন নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে দুজনকে নিজেই নির্বাচন করবেন। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বাংলার শাসক দল।