স্টাফ রিপোর্টার: ইস্টবেঙ্গল-ইমামি চুক্তি নিয়ে এখন চারিদিকে নানা বিভ্রান্তি। তবে ক্লাব এবং ইনভেস্টরের মধ্যে চুক্তি নিয়ে এদিন অনেকটাই পরিস্কার ইঙ্গিত দিলেন ইমামির (Emami) অন্যতম ডিরেক্টর আদিত্য আগরওয়াল।
বিভিন্ন শর্তর কথা উল্লেখ করে কোম্পানি তৈরির জন্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে একটি টার্মশিট পাঠানো হয়েছে ইমামির পক্ষ থেকে। এবার ইস্টবেঙ্গল কর্তারা তাঁদের আইনজীবিদের দিয়ে পরীক্ষা করে দেখছেন, কোন কোন শর্ত মেনে নিলে ক্লাবের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে পারে। ফলে যে যে শর্তে আপত্তি রয়েছে, সেই জায়গায় কিছু নতুন শর্ত দিয়ে ইমামিকে পরিবর্তিত টার্মশিট পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন লাল-হলুদ কর্তারা। এক্ষেত্রে কর্তাদের যুক্তি হল, ইমামি একটা টার্মশিট তৈরি করতে তিন সপ্তাহ সময় নিয়েছে। টার্মশিটের যাবতীয় আইনি ব্যাপারগুলি পরীক্ষা করতে আমাদের অন্তত এক সপ্তাহ সময় তো লাগবেই। ক্লাবের তরফে সব কিছু ঠিক হয়ে গেলেই ইনভেস্টরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: অদম্য জেদ ও ইচ্ছাশক্তির জয়, দুর্গম ট্রেলস পাস পার করে নজির হাতিবাগানের রুনার]
কিন্তু এসবের মাঝে পড়ে ভাল ফুটবলারদের আর ঠিক সময়ে সই করানো যাবে না। এই প্রসঙ্গে ইনভেস্টরের পক্ষে আদিত্য আগরওয়াল (Aditya Agarwal) বললেন, “কোথাও কোনও সমস্যা নেই। আমরা চুক্তিপত্র ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে পাঠিয়েছি। ওরা এবার আমাদের শর্তগুলি দেখে নিজেদের মতামত পাঠাবে। তারপর দু’পক্ষের আলোচনায় চূড়ান্ত চুক্তিপত্র তৈরি হলে একটা কোম্পাানি গঠন হবে। সেই নতুন কোম্পানি থেকে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের বেতন দেওয়া হবে। নতুন কোম্পানি তৈরি হওয়ার আগেই যদি কেউ কোনও ফুটবলারদের অর্থ দিলে, তার দায়িত্ব আমাদের নয়।”
[আরও পড়ুন: ফের ব্যর্থ বিরাট, প্রস্তুতি ম্যাচে বেহাল অবস্থা ভারতীয় ব্যাটিংয়ের]
যে ফুটবলারদের বেতন বাকি ছিল, সেই বকেয়া অর্থ ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গলকে দিয়ে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট (Shree Cement)। কিন্তু কোয়েসের বকেয়া বেতন দিতে হবে ক্লাবকেই। কিন্তু কী এমন শর্ত দিয়েছে ইমামি যে, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের? যতদূর জানা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা পঞ্চাশ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে রাজি হলেও ইমামি চাইছে ৮০ শতাংশ শেয়ার। একই সঙ্গে মোহনবাগান ক্লাবের (Mohun Bagan) মতোই ইমামি তাদের চুক্তিপত্রে লিখেছে ডিরেক্টর বোর্ডে ইমামির পক্ষে থাকতেন ৮ জন প্রতিনিধি। ক্লাবের পক্ষে থাকবেন ২ জন প্রতিনিধি। তবে দু’পক্ষই আশাবাদী আলাপ-আলোচনার মধ্যে চুক্তিপত্রর শর্তাবলি নিয়ে দু’পক্ষই দ্রুত একটি জায়গায় চলে আসবে। লাল-হলুদ সমর্থকরা এখন একটা জিনিসই চাইছেন, যাবতীয় সব সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে যাতে ভাল টিম গঠন করা যায়। শেষ দু’বছর আইএসএলে (ISL) ইস্টবেঙ্গল চূড়ান্ত হতাশজনক পারফরম্যাসে করে। এবার যাতে সেরকম কিছু না হয়, সেটাই দাবি সমর্থকদের।