সুব্রত বিশ্বাস: সম্প্রতি শতাধিক প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এর প্রতিবাদে শুক্রবার পূর্ব রেলের নানা দপ্তর ও ওয়ার্কশপগুলিতে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। এদিন দুপুর থেকে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর ফেয়ারলি প্লেস, হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদহে রেলের দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মেনস ইউনিয়নের সদস্যরা। লিলুয়া, কাঁচড়াপাড়া ও জামালপুরের ওয়ার্কশপগুলিতে আন্দোলনের তীব্রতা ছিল আরও জোরদার।
[আরও পড়ুন: এবার বেসরকারি হাতে প্যাসেঞ্জার ট্রেন! ১০৯ রুটে ট্রেন চালাতে টেন্ডার ডাকছে রেল]
এদিন দুপুর একটা থেকে রেলের দপ্তরগুলির সামনে জমায়েত হন রেলকর্মীরা। পতাকা আর প্ল্যাকার্ড হাতে কর্মীরা কেন্দ্রের পরিকল্পনা বাতিলের দাবি তোলেন। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগের সুরে বলেন, “১৯৪৬ সালে রেল জাতীয়করণ হয়। সেই রেলকে আম্বানি, আদানিদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না। হাওড়া ক্লাস্টারে ঘোষিত একটিও ট্রেন চলতে দেওয়া হবে না। এজন্য আন্দোলন যে পর্যায়ে করা দরকার তা হবে। কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ন প্রতিবাদে পথে নামলেও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্মীরা এদিন আন্দোলন শুরু করেননি। ওই রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “অন্য আন্দোলনকারীদের আমারা সমর্থন করছি।”
কংগ্রেস নেতা গৌরব বল্লভ টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নতুন লাইন পেতে বেসরকারি ট্রেন চালানো হোক। এই পরিকল্পনাতে আগেই রেল বাজেটকে সাধারণ বাজেটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এদিকে, রেলকে বেসরকারিকরণের সঙ্গে রেল বোর্ড ঘোষণা করেছে সেফটি ক্যাটাগরি ছাড়া অন্য কোনও পদে আপাতত নতুন নিয়োগ বন্ধ। গত দু’বছর যে পদগুলি শূন্য রয়েছে সেগুলি পর্যলোচনা করে দেখা হবে। নিয়োগ না হলে পদের অবলুপ্তি ঘটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেফটি ক্যাটাগরি ছাড়া অন্য পদের পঞ্চাশ শতাংশ পদের বিলোপ ঘটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ কঠোরভাবে পালনের জন্য জিএমদের নির্দেশ দিয়েছে রেলবোর্ড।
[আরও পড়ুন: সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে কাশ্মীর সীমান্তে গুলি ছোঁড়ার জের, পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি ভারতের]
The post বেসরকারি হাতে প্যাসেঞ্জার ট্রেন, রেলের দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মীদের appeared first on Sangbad Pratidin.