shono
Advertisement

Breaking News

বাংলাদেশে ১০ হাজার কোটির ব্যাংক জালিয়াতি করে বাংলায় আত্মগোপন, ইডির হাতে গ্রেপ্তার ৬

ধৃতদের বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
Posted: 09:18 PM May 14, 2022Updated: 08:29 AM May 15, 2022

গোবিন্দ রায়: বাংলাদেশে ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতিতে ফেরার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারকে গ্রেপ্তার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণের সম্পত্তি ও অর্থের নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই ব্যাংক জালিয়াতি ও অর্থ পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অশোকনগর থেকে এক মহিলা-সহ আরও পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ইডির গোয়েন্দারা। শনিবার ধৃত ৬ অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে ৫ জনকে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এবং ধৃত মহিলাকে ১৭ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

Advertisement

সূত্রের খবর, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যেই ঢাকায় ঘোষণা করেছে প্রশান্ত কুমার হালদারদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে অর্থপাচার, জালিয়াতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তাদের বিচার করা হবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তি থাকায় খুব শীঘ্রই প্রশান্তদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: এখনই GTA নির্বাচন চাই না’! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন বিমল গুরুং]

ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। চক্রের মূল মাথা প্রশান্তকুমার হালদার। সঙ্গে ছিলেন দুই সহযোগী প্রণবকুমার হালদার ও প্রীতিশকুমার হালদার। বিভিন্ন নামে বাংলাদেশে ২৬টি কোম্পানি খোলেন তাঁরা। গাড়ি, জমি-বাড়ি-সহ বিভিন্ন ব্যবসা দেখিয়ে ধাপে ধাপে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়। তা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা পড়তেই শুরু হয় আসল খেলা। বিভিন্ন লেনদেন দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় ওই অর্থ। তারপর ঘুরপথে টাকা তুলে হাওলার মাধ্যমে এদেশে পাচার করা হয় বলে অভিযোগ।

২০১৯ সালে বিষয়টি নজরে আসে বাংলাদেশ সরকারের। তদন্তে দেখা যায় সংস্থাগুলো খোলা হয়েছিল স্রেফ খাতায়-কলমে। বাস্তবে কোনও ইউনিটই নেই। সূত্র মারফৎ বাংলাদেশের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, কোম্পানির কর্ণধার প্রশান্ত এপারের অশোকনগরে আত্মগোপন করে আছেন। শুধু তাই নয়, শিবশঙ্কর হালদার নামে জাল আধার, ভোটার কার্ড ও ভারতীয় পাসপোর্ট বানিয়ে জাঁকিয়ে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গে।

[আরও পড়ুন: যেখানে-সেখানে আগুন, নেপথ্যে কি ১১ বছরের নাবালিকা? রহস্য ঘনাচ্ছে পুরুলিয়ার গ্রামে]

এ রাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা গোয়েন্দাদের সেই খবরই দিয়েছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দারাই। সেই সূত্র ধরেই গোপনে অভিযান চালায় ইডি। বিপুল পরিমাণের সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায়। অভিযোগ, বাংলাদেশের ব্যাংকের লুট হওয়া ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়েই এই সম্পত্তির করেছিল প্রশান্ত। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন অশোকনগরের মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধা, তাঁর মেয়ে ও জামাই। শুক্রবার রাতে অশোকনগর থেকে যে তাঁদেরকেও আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি উঠে আসায় তাঁদের গ্রেপ্তার করে ইডি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার