সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারদা কাণ্ডের (Narada Case) তদন্তে সোমবার ফের ইডির (Enforcement Directorate) নোটিস পেলেন পুরমন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। সাতদিনের মধ্যে তাঁদের সম্পত্তি, আয় ও ব্যয়ের হিসাব এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে সল্টলেকে ইডির (ED) দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে নোটিস।
এদিন সন্ধ্যায় পুর ভবনে ইডির তরফে নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করেন পুরমন্ত্রী। নাম না করে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করে বলেন, “এটা ওদের তরফে নির্বাচনী গেম হিসাবে আমরা নিচ্ছি। ওরা রাজনৈতিক লড়াইয়ে পেরে উঠছে না বলে এভাবে আমাদের হেনস্তার চেষ্টা করছে। এতে আমরা কেউ ভয় পাচ্ছি না।” আগের মতো এবারও নিজের নথি নিয়ে যথাসময়ে ইডিতে হাজির হবেন বলেও জানিয়ে দেন তিনি। এটা তাঁর নিজের নয়, ক্লাবের হয়ে পুজোর চাঁদার টাকা অন্যের হাতে দিতে বলেছিলেন পুরমন্ত্রী। ক্লাবের সেই টাকার হিসাব, আয়করও ছয় বছর আগেই দপ্তরে জমা পড়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন : করোনা কালে বড়দিন-বর্ষবরণে কীভাবে মানা হবে দূরত্ববিধি? পরিকল্পনা শুরু কলকাতা পুলিশের]
বিষয়টির উল্লেখ করে ফিরহাদ (Firhad Hakim) বলেন, “ওরা ওদের ভোতা অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করছে, আমরা আমাদের বক্তব্য নিয়ে মানুষের কাছে যাব, বোঝাব।” আগের বিধানসভা ভোটে মূল ইস্যু ছিল নারদা, সেবারও ফিরহাদ ও মদনদের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে প্রচারে নেমেছিল বিরোধী দলগুলি। এবারও ভোটের আগে ইডির নোটিস সেই প্রচারের অংশ বলে উল্লেখ করেন পুরমন্ত্রী। মদন মিত্র বা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বলে খবর।