ইংল্যান্ড: ৩২১/৮ (রয়-৬৫, বেয়ারস্টো-৫৬)
ভারত: ৩১৬/৯ (কোহলি- ৫৫, পাণ্ডিয়া-৫৬, কেদার-৯০)
৫ রানে জয়ী ইংল্যান্ড
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বোধ হয় বলে তীরে এসে তরী ডুবে যাওয়া। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও ইংলিশদের বিরুদ্ধে যে গতিতে এগিয়ে চলেছিল টিম ইন্ডিয়া, তাতে তাদের অপ্রতিরোধ্য বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ক্রিকেটের নন্দনকাননে এসেই সজোরে ধাক্কা খেল বিরাটের সেই বিজয় রথ। স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে ফেভরিটদের বধ করে ছুটির দিনে কলকাতাবাসীর ঠোঁটের কোণ থেকে সবটুকু হাসি কেড়ে নিলেন মর্গ্যানরা। হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন এবারের মতো অধরাই থেকে গেল ভারতের।
(কোহলির রেকর্ড ভেঙে দিলেন আফগান ব্যাটসম্যান)
রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার এক অদ্ভুত নেশায় যেন বুঁদ এই ভারতীয় দল। পুণেতে প্রথম ম্যাচে ৩৫০ রান তাড়া করে দিব্যি জয় হাসিল হয়েছিল। সেই আত্মবিশ্বাসই ইডেনেও কাজে লাগানোর চেষ্টা করলেন নেতা কোহলি। টসে জিতে মর্গ্যানদের পাঠিয়ে দিলেন ব্যাট করতে। আর সেই সিদ্ধান্তই কাল হয়ে দাঁড়াল। ইডেনের স্লো উইকেটে পরে ব্যাট করে ম্যাচ জেতার ইতিহাস একেবারেই সুখকর নয়। ৯৬-এর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও প্রথমে ফিল্ডিং নিয়ে লাভবান হয়নি টিম। এদিনও সেই একই ঘটনা ঘটল। ডিউ ফ্যাক্টরে চরম স্লো হয়ে গেল আউটফিল্ডও। সেই সুযোগটাই চেটেপুটে কাজে লাগাল ইংল্যান্ড। রাহানে, লোকেশদের উইকেট টপটপ করে তুলে নিলেন উইলি, জ্যাক বলরা। বিরাট (৫৫), যুবি (৪৫) খানিকটা হাল ধরলেও ইডেনের ফ্লাড লাইটে ম্যাচ বের করার মতো পারফরম্যান্স এল না তাঁদের ব্যাট থেকেও। চেষ্টার কমতি রাখেননি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও। কেদার যাদব ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার পার্টনারশিপ জমাট বাঁধতে গিয়েও ভেঙে গেল। অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট। একটা ওভারেও বদলে যেতে পারে গোটা সমীকরণ। কিন্তু সেই একটা ওভারই এদিন এল না। আর তাই জয়ের ঝাণ্ডা ওড়ানো হল না।
(প্রেমিকার অশালীন ছবি পোস্ট করে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি ক্রিকেটার)
হারার আগে হারতে নেই। সেটাকেই বলে স্পোর্টসম্যান স্পিরিট। আর স্পিরিটে ভর করেই ইডেন শব্দ-ব্রহ্মকে ভেদ করে ছাপিয়ে গেল ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স। রবিবারের ম্যাচের আগে চোট সমস্যায় ভুগছিল ইংল্যান্ড শিবির। প্র্যাকটিসে চোট পেয়েছিলেন জেসন রয়। তবে এদিন ওপেন করতে নেমে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে ভিত গড়ে দিলেন। দলে ছিলেন না জো রুটও। তাই সিরিজ জয়ের পর নিয়মরক্ষার ম্যাচে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল বিরাট অ্যান্ড কোম্পানি। তবে দুরন্ত শুরুতে ভারতীয় বোলারদের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ডের টপ-অর্ডার। বেয়ারস্টো, মর্গ্যানরা যেভাবে একের পর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন, তাতে বিরাটবাহিনীর উপর চাপ ক্রমশ বেড়েই গেল। গুমোট পরিবেশে অক্সিজেন জোগালেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। ব্যাটে-বলে দলকে এদিন অনেক কিছু দিয়ে গেলেন তিনি। তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি। জাদেজা ঝুলিতে ভরেন দুটি উইকেট।
(জানেন, কার খেলা দেখতে সব কাজ ছাড়তে রাজি সৌরভ?)
কথায় বলে শেষ ভাল যার সব ভাল। ম্যাচের শুরুতে ক্যাপ্টেন কুলকে সংবর্ধনা। একগুচ্ছ বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে ভরা রুদ্ধশ্বাস, টানটান একটা ম্যাচের সাক্ষী থাকল রবিবাসরীয় ইডেন। সঙ্গে বিরাটের হাতে উঠল সিরিজ জয়ের ট্রফি।