ভারত: ৪১৬-১০ (পন্থ- ১৪৬, জাদেজা- ১০৪) ও ১২৫/৩ (পন্থ-৩০*, পূজারা-৫০*)
ইংল্যান্ড: ২৮৪/১০ (বেয়ারস্টো- ১০৬, বিলিংস-৩৬, সিরাজ- ৪-৬৬)
তৃতীয় দিনের শেষে ভারত এগিয়ে ২৫৭ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলে থেকে কি দলের ক্ষতি করছেন বিরাট কোহলি? দলের বোঝা বাড়িয়ে দিচ্ছেন? রবিবার ফিল্ডিংয়ের সময় তাঁর আচরণ এবং ব্যাট হাতে তাঁর ব্যর্থতা দেখে এমন প্রশ্নই প্রকট হয়ে উঠল। স্লেজিং করে একদিকে দুরন্ত ছন্দে থাকা বেয়ারস্টোকে আরও ভাল খেলতে তাতিয়ে দিলেন। আর অন্যদিকে আরও একবার ব্যর্থ হয়ে তিনি জয়ের গুরু দায়িত্ব ঠেলে দিলেন অন্যদের কাঁধেই। এরপরও ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বর জায়গাটি আঁকড়ে ধরে বসে থাকবেন কোহলি? টিম ম্যানেজমেন্টের এবার হয়তো সত্যিই ভাবার সময় এসেছে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব বলেছিলেন, কোনও ব্যাটার লাগাতার ব্যর্থ হলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হবেই। তা তিনি শচীন তেণ্ডুলকর হোন কিংবা বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এ কথা অস্বীকার করার প্রশ্নই ওঠে না যে কোহলির ঝুলি অজস্র রেকর্ডে ভরতি। একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন এককালে। কিন্তু সেই সাফল্যের সার্টিফিকেট দেখিয়ে আর কতদিন তাঁর ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব? উত্তর এখনও অধরা। তবে এজবাস্টন টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরা কোহলির চোখমুখ দেখলে মন খারাপের চেয়ে বেশি রাগই হচ্ছে দর্শকদের। নিজের অফ ফর্ম নিয়ে যেন একেবারেই চিন্তিত নন তিনি। বরং ‘রাজা’র রাজত্ব গেলেও রয়ে গিয়েছে ফাঁপা আগ্রাসন। যেখানে দায়বদ্ধতার ছিটেফোঁটাও নেই।
[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদকে ‘ভাগ্যনগর’ বলে সম্বোধন মোদির, ফের উসকে গেল নাম বদলের জল্পনা]
বেয়ারস্টোকে কটাক্ষ করে যেন ইংল্যান্ডের কাজটা আরও সহজ করে দিলেন তিনি। ঘা খাওয়া বাঘের মতো তেড়েফুঁড়ে উঠে একেবারে সেঞ্চুরিই করে ফেললেন ইংলিশ মিডল অর্ডার ব্যাটার। আর তাতেই প্রায় ৩০০-র কাছাকাছি পৌঁছে গেল ইংল্যান্ডের রান। ক্যাপ্টেন বুমরাহ (৩), মহম্মদ শামি (২) ও মহম্মদ সিরাজের (৪) পেস ঝড়ের সামনে অবশ্য আর সেভাবে কেউ টিকতে পারেননি।
এদিকে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেলেন না শুভমান গিল (৪)। আরও একবার ব্যর্থ হনুমা বিহারীও (১১)। আর কোহলি? তাঁর ব্যর্থতার কাহিনি এখন ক্লিশে হয়ে গিয়েছে। স্টোকসের অনবদ্য ডেলিভারিতে রুটের হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন তিনি। দিনের শেষে ক্রিজে অপরাজিত পন্থ ও পূজারা। আপাতত ইংল্যান্ডের থেকে ২৫৭ রানে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। প্রথম ইনিংসের মতোই ভারতীয় ইংলিশ বাহিনীকে দ্রুত ধরাশায়ী করা সম্ভব হলে এজবাস্টনে ইতিহাস গড়তেই পারেন ক্যাপ্টেন বুমরাহ। তবে কোহলি সে পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান কি না, সেটাই এখন লাখ টাকার সওয়াল।