ভারত: ৪১৬-১০ (পন্থ- ১৪৬, জাদেজা- ১০৪) ও ২৪৫/১০ (পন্থ-৫৭, পূজারা-৬৬)
ইংল্যান্ড: ২৮৪/১০ (বেয়ারস্টো- ১০৬, বিলিংস-৩৬, সিরাজ- ৪-৬৬) ও ৩৭৮/৩ (রুট-১৪২*, বেয়ারস্টো-১১৪*, বুমরাহ- ২-৭৪)
৭ উইকেটে জয়ী ইংল্যান্ড
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এজবাস্টন টেস্টের ফল কী হবে, চতুর্থ দিনের শেষেই সে আভাস পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার রুট-বেয়ারস্টো জুটি সেই আভাসেই সিলমোহর দিল। ভারতীয় পেসারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে হাসতে হাসতে ঘরের মাটিতে জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড। আর সেই সঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী দলের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয়ে স্বপ্নভঙ্গ হল বুমরাহ অ্যান্ড কোংয়ের। ২-২-এ ড্র দিয়েই শেষ হল কার্যত দু’বছর ধরে চলা সিরিজ।
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩৭৮ রান। চতুর্থ দিন ভারতীয়রা (Team India) তিনটি উইকেট তুলে নিলেও পঞ্চম দিন বোলারদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়লেন না রুট ও বেয়ারস্টো। বরং মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দু’জনই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। রান তাড়া করে এটাই টেস্টে সবচেয়ে বড় জয় ইংল্যান্ডের। বেয়ারস্টোকে কটাক্ষ কিংবা ইংলিশ ব্যাটাররা আউট হলে বিরাট কোহলির অতিউচ্ছ্বাস, তাঁর আগ্রাসী আচরণ যেন ভারতীয় সমর্থকদের মাথা আরও হেঁট করে দিল।
[আরও পড়ুন: ‘সিনিয়ররা জোর করে ম্যাসাজ করাত, কাপড় কাচাত!’, স্পোর্টস হস্টেল নিয়ে বিস্ফোরক দ্যুতি]
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে জশপ্রীত বুমরাহর (Jasprit Bumrah) ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেখানে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে চাপে ফেলা যেত বেয়ারস্টোদের, সেখানে একেবারে উলটো কাজটি করলেন অধিনায়ক। বেশিরভাগ ফিল্ডারদেরই ৩০ গজের বাইরে বা বাউন্ডারির কাছে রাখলেন তিনি। ফলে খুচরো রান নিয়ে অনায়াসে এগিয়ে গেলেন জো রুটরা। আর টেস্টের শেষ দিন তো রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন দুই ব্যাটার।
শুধু ফিল্ডিং সাজানোই নয়, ভারতের হারের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরতেই হয় বিশ্রী ফিল্ডিং এবং দুর্বল বোলিংকে। প্রথম ইনিংসে যে ভারতীয় বোলাররা ইংলিশ ব্যাটারদের নাকানি-চোবানি খাইয়েছিলেন, তাঁরাই অদ্ভুতভাবে লেগ স্টাম্পে বল শুরু করেন। এই একই লাইনে বল করে জোহনেসবার্গ ও কেপটাউনে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। ফলে দ্রাবিড় যুগে বিদেশের মাটিতে টেস্টে হারের হ্যাটট্রিক করে ফেলল ভারত। শুরুটা ভাল করেও শেষরক্ষা করতে ব্যর্থ বুমরাহরা। সিরিজ ২-২-এ শেষ করেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে নামবেন রোহিত শর্মারা।