সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপে জার্মানি ৭ গোল দিয়েছিল ব্রাজিলকে। আবার গত বছর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে আট-আটটা গোল হজম করতে হয়েছিল মেসির বার্সেলোনাকে। মঙ্গলরাতে (ভারতীয় সময়) সেই স্মৃতিই ফিরল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম সাউদাম্পটন ম্যাচে। যেখানে ৯টা গোল খেয়ে লজ্জায় মাথা হেঁট হল সাউদাম্পটনের। আর উলটোদিকে নিজেদের রেকর্ড ভেঙেই ফের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (EPL) ইতিহাসে ঢুকে পড়ল দ্য রেড ডেভিলসের নাম।
শো শুরু হয়েছিল খেলার ১৮ মিনিটের মাথায়। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইম পর্যন্ত তা চলল। সাউদাম্পটনের রক্ষণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে একের পর এক গোল করে গেলেন রাশফিল্ড, কাভানি, ব্রুনো ফার্নান্ডেজরা। ততক্ষণে ব়্যামসেদের আত্মবিশ্বাস ভূলুন্ঠিত। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আবার একটি আত্মঘাতী গোল করে বসেন জ্যান বেডনারেক। এখানেই শেষ নয়। একটি নয়, ৯০ মিনিটের খেলায় লাল কার্ডও দেখেন সাউদাম্পটনের দুই ফুটবলার। মাত্র ২ মিনিট খেলেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যালেক্স। তারপর থেকেই দশজনের দলকে নাকানি চোবানি খাওয়ায় ম্যান ইউর ফরোয়ার্ড। আর ৮৬ মিনিটে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন আত্মঘাতী গোল করা বেডনারেক। এককথায় বিভীষিকাময় রাত কাটালেন সাউদাম্পটন ফুটবলাররা।
[আরও পড়ুন: মধুর প্রতিশোধ, ছন্নছাড়া এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে জয়ের সরণিতে সুনীল ছেত্রীরা]
আর এই বিরাট ব্যবধানে জয়ই লিগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে দিল ম্যান ইউকে (Manchester United)। শীর্ষে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ও গানারের দলের পয়েন্ট ৪৪। তবে সিটি তাঁদের থেকে দুটি ম্যাচ কম খেলেছে। কিন্তু সাউটাম্পটনকে গোলের মালা পরিয়ে যে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছেন কাভানিরা, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে ১৯৯৫ সালে এই ম্যান ইউ-ই ইপ্সউইচ টাউনকে ৯-০ গোলে মাটি ধরিয়েছিল। নতুন করে সেই রেকর্ড ছুঁল তারা।
ছেলেদের খেলায় উচ্ছ্বসিত কোচ গানার বলছিলেন, “একেবারে নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছিল ওরা। হ্যারি, ভিক্টর, ডেভিড, স্কট প্রধমার্ধেই তেড়েফুঁড়ে উঠেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে একই মনোভাব লক্ষ্য করলাম। ওরা আরও গোল দিতে চাইছিল। আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে যে ব্যবধানে অনেকটা এগিয়ে থেকেও গোলের খিদেটা হারিয়ে যায়নি। আর সেটাই ফুটবলারদের সবচেয়ে ভাল অভ্যেস।” শনিবার এভারটনের বিরুদ্ধেও এই ছন্দই বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর ম্যান ইউ।