সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) মাটি যেন সন্ত্রাসের উৎস হয়ে না দাঁড়ায়। G-20 দেশগুলির ভারচুয়াল বৈঠকে সাফ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়ে দিলেন, এই সময় গোটা বিশ্বের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে আফগান নাগরিকদের পাশে থাকা। তালিবান শাসনেও যাতে আফগানভূমে নাগরিকদের কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে নিরন্তরভাবে তাঁদের পাশে থাকতে হবে গোটা বিশ্বকে।
আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান (Taliban)। জেহাদিদের সরকারকে সমর্থনের পক্ষে সওয়াল করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এই পরিস্থিতিতে ভারত কী অবস্থান নেয়, সেদিকে তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। এদিন জি-২০ বৈঠকে আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট না করলেও, মোদি জানিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের মাটি যাতে হিংসা এবং সন্ত্রাসের আতুড়ঘর না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করা আমাদের আশু কর্তব্য।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর মোদির নতুন উপদেষ্টা হলেন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি ফাঁস করা প্রাক্তন আমলা]
আসলে, আফগানিস্তানে তালিবান (Taliban) সরকার গঠনের পর পাকিস্তান যে আফগান মাটি ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে, সেটা এখন দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। সম্ভবত সেকারণেই আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসমুক্ত করার ডাক দিয়ে আগেভাগে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে দিলেন মোদি (Narendra Modi)। মঙ্গলবার G-20 দেশগুলির ভারচুয়াল বৈঠকে মোদি বলেন,”আফগান মাটি যাতে সন্ত্রাস আর হিংসার উৎস না হয়ে যায়, সেটা আমাদেরই নিশ্চিত করতে হবে। দেশটিতে পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আফগান নাগরিকদের নিরন্তর মানবিক সাহায্য চালিয়ে যেতে হবে।”
[আরও পড়ুন: সংসদীয় কমিটির অনুষ্ঠানে পাক সেনেটের চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ! বিতর্কে স্পিকার ওম বিড়লা]
প্রসঙ্গত, এর আগে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছেন মোদি। গতমাসে রাষ্ট্রসংঘের ওই সভাতেও প্রায় একই বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বার্তা ছিল, “আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহারকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা চলবে না। আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে সেই দেশের পরিস্থিতির সুযোগ অন্য কেউ না নেয়। আফগানিস্তানের মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে।” বস্তুত এদিনও আফগান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে, ভারতের মূল লক্ষ্য যে সন্ত্রাসবাদ খতম করা, সেটা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।