সুপর্ণা মজুমদার: কামাথিপুরার ক্যুইন ছিলেন গাঙ্গুবাই। সেই চরিত্রই ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ (Gangubai Kathiawadi) ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। ছবির প্রচারে এমন শহরে এসেছেন, যেখানে এশিয়ার সবচেয়ে বড় যৌনপল্লি রয়েছে। নাম সোনাগাছি (Sonagachi)। সোনাগাছি বা তার মতো অন্যান্য যৌনপল্লিতে যে মানুষগুলো দিনের পর দিন দেহ ব্যবসার মাধ্যমে রুজিরুটি আয় করছেন, তাঁদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কি পালটেছে? এই প্রশ্নের জবাব দিলেন আলিয়া।
অভিনেত্রী বলেন, “দেহ ব্যবসার পেশাকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য লড়েছিলেন গাঙ্গুবাই। তা অবশ্যই তর্কসাপেক্ষ একটা বিষয়। কিন্তু আমরা তাঁদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করি, তাঁদের কতটা আপন করে নিতে পারি ,পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এভাবেই আমরা ওঁদের মতো করে ওঁদের বুঝতে পারব।”
[আরও পড়ুন: ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল পড়ুয়াদের, শামিল বিশিষ্টরাও]
এরপরই অভিনেত্রী জানান, ছয়ের দশকেই গাঙ্গুবাই যৌনকর্মীদের অধিকারের জন্য লড়েছিলেন। সেই লড়াই আজও চলছে। অভিনেত্রীর কথায়, “আজও মানুষ যৌনকর্মীদের খারাপ চোখে দেখেন। হ্যাঁ, তাঁদের পেশা নিয়ে কারওর সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু তাঁরাও তো মানুষ। কোন কারণে এই পেশাকে বেছে নিয়েছেন, তা ভাবা প্রয়োজন। বোঝার চেষ্টা করা দরকার। আমি সবসময়ে বিশ্বাস করি, মানুষের মনে একটু দয়াভাব থাকলে এ পৃথিবী আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে। ওঁদের দেহেও আমাদের মতোই লাল রক্ত রয়েছে। তাহলে এত বৈষম্য কীসের? “
হুসেন জাইদির লেখা বই ‘মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বই’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি (Sanjay Leela Bhansali) তৈরি করেছেন ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’। তার প্রচারে কলকাতায় এসেই যৌনকর্মীদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন আলিয়া। ছবির প্রচারের পাশাপাশি এদিন কলকাতায় ছবির নতুন গানও লঞ্চ করেন আলিয়া।