সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুর ৩.৪৫। থামল হৃৎস্পন্দন। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন উস্তাদ রাশিদ খান (Ustad Rashid Khan Demise)। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে প্রয়াত প্রিয় ছাত্র। মুম্বই থেকে ফিরেই চূড়ান্ত এই খারাপ খবর পেলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Ajay Chakraborty)। ভারাক্রান্ত মনে বললেন, ‘এ তো চলে যাওয়ার বয়স নয়…’।
সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে বর্ষীয়ান শিল্পী জানালেন কথা বলার মতো পরিস্থিতি তাঁর নেই। হারিয়ে ফেলেছেন শব্দ। গত এক মাস ধরে প্রিয় ছাত্র খবর রাখছিলেন। আজ শুধুই হতাশা। “ও তো আমার হাতেই তৈরি। এটা তো চলে যাওয়ার বয়স নয়। দেশের সঙ্গীত জগৎ এক গুণী শিল্পীকে হারাল,” বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনেছেন। আর কিছু বলতে চান না বলেই জানালেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। সোমবারও শুনেছিলেন ভালো আছেন রাশিদ খান। কিন্তু মঙ্গলবার পেলেন এমন দুঃসংবাদ। ‘আশা করিনি’, বললেন তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রিয় রাশিদ সম্পর্কে কী বলেছিলেন পণ্ডিত ভীমসেন যোশী?]
ক্যানসারের সঙ্গে বহুদিন ধরে লড়ছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। তার মধ্যেই স্ট্রোক। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। রামপুর-সহসওয়ান গায়কির শিল্পী ছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। এই ঘরানারই শিল্পী উস্তাদ নিসার হুসেনের কাছে তালিম নেন। পণ্ডিত ভীমসেন জোশীর খুবই কাছের মানুষ ছিলেন রাশিদ। তাঁকে দেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভবিষ্যৎ বলেছিলেন পণ্ডিতজি। নিয়মিত তাঁদের মধ্যে সঙ্গীত নিয়ে চর্চা হতো।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভিত হলেও বলিউড ও টলিউডের একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন উস্তাদ রাশিদ খান। ‘জব উই মেট’ সিনেমায় ‘আওগে যব তুম সজনা’ গানের মাধ্যমে সারা দেশের মন জয় করে নেন তিনি। শাহরুখ খানের ‘মাই নেম ইজ খান’ সিনেমায় ‘আল্লা হ্যায় রহেম’ গানটি গেয়েছেন শিল্পী। ‘মান্টো’র ‘বোল কে লব আজাদ হ্যায়’ থেকে ‘মিতিন মাসি’র ‘বরসাত সাওয়ান’— প্রত্যেক গানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন শিল্পী। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। সেবছরই সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার পান তিনি।