সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) মানহানির মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই জামিন যোগ্য এই পরোয়ানা জারি করা হল কঙ্গনার বিরুদ্ধে। সমন জারি করা সত্ত্বেও আদালতে হাজির হননি বলিউড অভিনেত্রী। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অভিনেত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। ২৬ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাম-ISF জোটে ‘জিহাদি’ জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা! বিস্ফোরক পোস্ট তসলিমা নাসরিনের]
সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর পরই বলিউডের নেপোটিজম নিয়ে সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা। করণ জোহর (Karan Johar), আলিয়া ভাটদের (Alia Bhatt) পাশাপাশি জাভেদ আখতারের নাম নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। স্বজনপোষণের অভিযোগ এনেছিলেন। হৃতিক রোশনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন নাকি জাভেদ তাঁকে বাড়িতে ডেকে হুমকি দিয়েছিলেন। এমন অভিযোগও করেছিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল তাঁর সেই বক্তব্য। তার জেরেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বলিউডের বিখ্যাত গীতিকার, চিত্রনাট্যকার। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই সোমবার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবারই কঙ্গনা-ইস্যুতে হৃতিক রোশনের (Hrithik Roshan) বয়ান রেকর্ড করে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘কৃশ ৩’। সেই ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন হৃতিক ও কঙ্গনা। তারপর থেকেই দু’জনের সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়। কঙ্গনার অভিযোগ ছিল, মিথ্যে কথা বলে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন হৃতিক। তখন তিনি সুজানের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছিলেন। কঙ্গনা সেই সময় দাবি করেছিলেন, হৃতিকই নাকি মেইল পাঠাতেন তাঁকে। ২০১৬ সালে কঙ্গনার বিরুদ্ধে সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন বলিউড তারকা। পরে সেই মামলা ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসে গিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে নিজের বক্তব্য রাখেন বলিউড তারকা।