সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন এক অন্য বিগ বস হাউস। যেখানকার প্রতিযোগীরা একে অপরকে টপকে যাওয়ার জন্য নিন্দনীয় ঘটনা ঘটাতে পিছপা হন না, প্রয়োজনে অকথ্য ভাষায় একে অন্যকে অপমান করেন, সেই প্রতিযোগীরাই একে অপরের দুঃখে শামিল হলেন। সৌজন্যে ‘ছপাক’।
ছবির প্রচারে ‘বিগ বস’ হাউজে আগেও অনেকে এসেছেন। কিন্তু এবারের এপিসোডটা ছিল একেবারে অন্যরকম। ছবির প্রচারে বিগ বসের ঘরে গিয়েছিলেন লক্ষ্মী আগরওয়াল। তাঁর সামনেই নিজেদের জীবনের কুৎসিত অধ্যায়ের কথা তুলে ধরলেন তিন প্রতিযোগী মধুরিমা তুলি, আরতি সিং ও বিশাল আদিত্য সিং।
মধুরিমা তুলি বলেন, ছোটবেলায় এক গৃহশিক্ষক তাঁর শ্লীলতাহানি করেছিলেন। ঘটনার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মধুরিমা। অভিনেত্রী জানান, ছোটবেলায় এক শিক্ষক তাঁকে পড়াতে আসতেন। তিনিই মধুরিমার শ্লীলতাহানি করেছিলেন। তাঁর ভাইকে শিক্ষক চা আনতে পাঠিয়ে দিতেন। আর ওই সময় মধুরিমার শরীর স্পর্শ করার চেষ্টা করতেন তিনি। মা-বাবাকে অবশ্য পরে গোটা বিষয়টা বলেন মধুরিমা। ওই শিক্ষককে ছাড়িয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ঘটনা মন থেকে মুছতে পারেননি মধুরিমা।
[ আরও পড়ুন: ধারাবাহিকে বৃহন্নলার চরিত্রে মহিলা কেন? ‘ফিরকি’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মেঘ সায়ন্তনী ]
আরতি বলেন, তাঁর যখন ১৩ বছর বয়স, তখন তাঁকে একটি ঘরে বন্ধ করে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এক দিন, যখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না তখন বাড়ির কাজের লোক ঘরের দরজা বন্ধ করে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কোনও ক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি। সেদিনের সেই ঘটনার কথা আজও ভুলতে পারেননি আরতি। তখন তো তাঁর প্যানিক অ্যাটাকও হয়েছিল। প্রায় এক এই ঘটনা তাঁকে তাড়া করে বেড়ায়। সবাই ভাবত, বুঝি ব্রেক আপের কারণে ভেঙে পড়েছেন আরতি। কিন্তু তিনি আসল ঘটনা কাউকে বলতে পারেননি। অবশেষে মা ও ভাইয়ের সাহায্যে সেই চ্রমা কাটিয়ে ওঠেন।
এমন এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছে বিশাল আদিত্য সিংয়েরও। তিনি জানিয়েছেন, ১০-১১ বছর বয়সে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন তিনি। পড়ায় মন বসাতে পারতেন না। খেলতেও যেতে পারতেন না ভয়ে। ঘটনার কথা তিনি বাবাকে ছাড়া কাউকে বলতে পারেননি। তারপর থেকে ছেলেদের ঘৃণা করেন তিনি। নিজে ছেলে হয়েও ছেলেদের আজও সহ্য করতে পারেন না।
[ আরও পড়ুন: ছেলে আদিত্যর সঙ্গে বিয়ে হতে চলেছে নেহার! ইঙ্গিত দিলেন উদিত নারায়ণ ]
The post শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন, দীপিকাকে তিক্ত অভিজ্ঞতা শোনালেন বিগ বস প্রতিযোগীরা appeared first on Sangbad Pratidin.