শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: ফের ঘাটালের তারকা সাংসদ দেবের (Dev) বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। এবার হিরণের অভিযোগ, দেবের সাংসদ তহবিল থেকে উন্নয়নের জন্য কোনও প্রকল্প পেতে হলে ৩০ শতাংশ কমিশন দিতে হয় আবেদনকারীকে। তিনি একথা জেনেছেন ঘাটালেরই একাধিক বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে।
সম্প্রতি হিরণ একটি বেসরকারি চ্যানেলে ঘাটালের সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে সাংসদ তহবিল নিয়ে এমনই অভিযোগ তুলেছেন বলে খবর। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ঘাটালে। সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে তোলা দলীয় বিধায়ক হিরণের অভিযোগ নিয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) শীতল কপাট বলেন, ‘‘হিরণদার কাছে নিশ্চয়ই উপযুক্ত প্রমাণপত্র রয়েছে। তা না হলে তিনি বলবেন কেন? এর আগে হিরণদা দেবের বিরুদ্ধে গরুচোর এনামুলের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। তার তো প্রমাণ রয়েছে। এনমুলের অ্যাকাউন্ট থেকে দেবের অ্যাকাউন্টে যে পাঁচ কোটি টাকা ট্রান্সফার হয়েছে তার প্রমাণ রয়েছে। এক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই প্রমাণ রয়েছে হিরণদার কাছে। আমরা বলতে পারি, সাংসদ দেব সাধুপুরুষ নন।’’
[আরও পড়ুন: সুরেলা জুটির নতুন অধ্যায় শুরু, সাতপাকে বাঁধা পড়লেন সংগীতশিল্পী পলক মুচ্ছল ও মিঠুন]
উল্লেখ করা যায়, কালীপুজোয় ঘাটালের একটি অনুষ্ঠানে এসে খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ অভিনেতা সাংসদ দেবকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, বন্যার সময় ঘাটালের মানুষ যখন হাবুডুবু খায় তখন ঘাটালের সাংসদ দেব তাঁর গার্লফ্রেন্ড নিয়ে মালদ্বীপে ছুটি কাটায়। ঘাটালের মানুষের সমস্যা নিয়ে দেবের ভাবার সময় কোথায়? ২০১৪ সাল থেকে দেব ঘাটালের সাংসদ। সংসদে তাঁর উপস্থিতি ২০ শতাংশের নিচে।’’ এরপরই ঘাটালে এসে হিরণের তোলা অভিযোগের জবাব দেন দেব। কিন্তু এবার মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন হিরণ। তাঁর অভিযোগ, দেবের সাংসদ তহবিলে কাজ পেতে হলে ৩০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়। তাঁকে এই বিষয়ে অবশ্য ঘাটালের সিনিয়র তৃণমূল নেতারাই জানিয়েছেন বলে হিরণ জানান।
উল্লেখ করা যায়, দেব ২০১৪ সাল থেকে ঘাটালের সাংসদ। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেবের সাংসদ প্রতিনিধি ছিলেন ডেবরার তৃণমূল নেতা অলোক আচার্য। ফের ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে জিতে ঘাটালের সাংসদ হন দেব। তারপরই অলোক আচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৯ থেকে দেবের সাংসদ প্রতিনিধি হয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল নেতা রামপদ মান্না। হিরণের তোলা অভিযোগ নিয়ে দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এই বিষয়ে দেবের বর্তমান সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্না বলেন, ‘‘২০১৪ থেকে ২০১৯ কী হয়েছে আমি জানি না। ২০১৯-এর পর থেকে কারও সাহস নেই কোনও কাজ পেতে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ তোলার। কারও কাছ থেকে একটি টাকাও দাবি করা হয়নি, নেওয়াও হয়নি। চ্যালেঞ্জ করছি।’’