সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা চলছে। অনেকেই তাঁকে ‘ব্যাড বয়’ আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তাতে তাঁর প্রতি অনুগামীদের ভালবাসা এতটুকু কমেনি। নতুন মুখদের চলচিত্র জগতে সুযোগ করে দেওয়া থেকে নিজের ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লে প্রযোজককে অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া, সবকিছুর জন্যই শিরোনামে উঠে আসেন ‘ম্যান উইথ আ বিগ হার্ট’ সলমন খান। বলিউড সুপারস্টারের তকমা ছাপিয়েও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গোটা দুনিয়ায় পরিচিতি পেয়েছেন এই হিউম্যান বিইং। তাঁর বিইং হিউম্যানকে চেনে সারা বিশ্ব। আর সেই কারণেই এবার ব্রিটেন তাঁর হাতে তুলে দিল গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড। শুক্রবার ব্রিটেনের হাউস অফ কমনসে এমনই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে।
সম্প্রতি দুবাইয়ে একটি ড্রাইভিং সেন্টারের উদ্বোধন করে নেটদুনিয়ায় খোরাক হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাতে দাবাং খানের কিছু এসে যায় না। সলমন আছেন সলমনেই। কখনও নিজের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত তো কখনও সময় কাটান এনজিও-তে। আর সমাজসেবামূলক কাজের জন্যই এবার স্বীকৃতি পেলেন সল্লু মিঞা। ব্রিটিশ সংসদের এশিয়ান সাংসদ কেথ ভ্যাজের হাত থেকে শুক্রবার পুরস্কার নেন সলমন। তাঁর প্রশংসা করে ভ্যাজ জানান, “গোটা বিশ্বে বৈচিত্র আনতে যাঁদের বড় ভূমিকা থাকে, তাঁদেরকেই গ্লোবাল ডাইভারসিটি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। যে তালিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতাও। ভারতীয় এবং বিশ্ব চলচিত্র জগতের কাছে শুধুমাত্র একজন বড়মাপের তারকা হিসেবেই তাঁর পরিচিতি আছে, এমনটা নয়। সাধারণ মানুষের জন্যও নানা সমাজসেবামূলক কাজ করেছেন তিনি। আর তাই এবার এই পুরস্কারের জন্য তাঁর নামই বেছে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব জুড়ে বিইং হিউম্যান এখন নামকরা ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। যে ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য বিক্রির সব অর্থ সলমন তুলে দেন তাঁর এনজিও-কে। আর এমন কাজের স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছ্বসিত সল্লু মিঞা। বলছেন, “এমন সম্মান দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। বাবা হয়তো বিশ্বাসই করবেন না আমি এই পুরস্কার পেয়েছি। দারুণ লাগছে।” প্রায় এক দশক পর ব্রিটেনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছেন তিনি। শনিবার বার্মিংহামে এবং রবিবার লন্ডনে একটি শোয়ে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, সোনাক্ষী সিনহাদের সঙ্গে মঞ্চ মাতাবেন বলিউড হার্টথ্রব।
The post ব্রিটেনে সম্মানিত সলমন খান, কী জন্য জানেন? appeared first on Sangbad Pratidin.