আজও বাংলা সিনেমার মহীরূহ সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)। তাঁর জন্মদিন মানেই যেন উৎসব। যে উৎসব সিনেপ্রেমী বাঙালি নিজেদের মতো করে উদযাপন করে প্রতিবছর। কিন্তু দীর্ঘদেহী এই মানুষটা নিজে কীভাবে জন্মদিন পালন করতেন? একান্ত সাক্ষাৎকারে সেই সমস্ত কথা জানালেন সন্দীপ রায়। শুনলেন সুপর্ণা মজুমদার।
সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন মানেই সিনেপ্রেমী বাঙালির কাছে যেন উৎসব। তিনি নিজে কীভাবে জন্মদিন পালন করতে ভালবাসতেন?
তখন খুবই ইন্টিমেট ব্যাপার হতো। বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন আসত। সেভাবেই পালন করা হত। তারপর উনি যে সময় অসুস্থ হয়ে গেলেন, সে সময় একটু কেয়ারফুল হয়ে গেলেন আর কী! তখন গা ঢাকা দিতেন বলা যেতে পারে। পয়লা তারিখ কোথাও একটা চলে যেতেন। সেটা অবশ্যই ডাক্তার নির্দেশ অনুযায়ী। উনি এমনিতে যখন সুস্থ ছিলেন আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে আড্ডা মারা, খাওয়া-দাওয়া খুবই পছন্দ করতেন।
যে মানুষটার সিনেমায় খাবার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। তিনি নিজে কী কী খেতে ভালবাসতেন? বিশেষ করে জন্মদিনে।
নানা ধরনের খাবার খেতেন। কাজের সময় এক ধরনের, বাড়িতে আরেক ধরনের। বাড়িতে তো বাঙালি রান্না হতো। মা বিদেশি রান্নাবান্না করতেন। সেগুলো খুবই ভাল হত। জন্মদিনে কী হত বলা মুশকিল। তবে মাংসটা খুবই পছন্দ করতেন। তাছাড়া লুচি, আলুর দম, অড়হরের ডাল, ছোলার ডাল এগুলো খুবই পছন্দ করতেন। আবার শুটিংয়ের সময় উনি হয়তো স্যান্ডউইচ অথবা একটা ফিশফ্রাই খেতেন। দই খুব পছন্দ করতেন। মিষ্টি দই খুবই পছন্দ ছিল। আর নতুন গুড়ের সময় নতুন গুড়।
[আরও পড়ুন: ‘চুরি’ হয়েছিল ‘অবতারে’র চিত্রনাট্য, স্পিলবার্গের ‘ইটি’ নিয়ে অভিযোগ ছিল খোদ সত্যজিতের]
আজ শোনা যায় বাঙালি কোণঠাসা। ভাষা হোক, সিনেমা, সাহিত্য প্রায় সবদিক থেকেই। এই মুহূর্তে সত্যজিতের মতো আন্তর্জাতিক বাঙালি আইকনকে আমরা কীভাবে খুঁজে দেখতে পারি?
আমার তো মনে হয় সব, সমস্ত কিছু। ওঁর ছবি, ওঁর লেখা, সব কিছুর সঙ্গেই পরিচিত হওয়া উচিত বলে আমার মত।
শুধু তাঁর সৃষ্টিতে, নাকি তাঁর জীবনযাপনেও সেই বার্তাগুলো রাখা ছিল? আপনার চেনা যে সত্যজিৎ, তাঁর কথা যদি কিছু বলেন।
এটা একটু ভেবে নিতে হবে আর কী! এখন যদি ফেলুদা ধরা হয় তাহলে ফেলুদাও হচ্ছে সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)। শঙ্কু যদি ধরা হয় তাহলে শঙ্কু সত্যজিৎ রায়। যেগুলো উনি বিশ্বাস করতেন, মেনে চলতেন সেগুলো ওঁর সৃষ্টি করা চরিত্রের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে! কাজেই ফেলুদা যা ভালবাসে সেটা বাবাও ভালবাসতেন। ফেলুদা যেটা অপছন্দ করে বাবাও তা অপছন্দ করতেন।