সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’। বহুল প্রচলিত এ প্রবাদ। আর কোনও ছবির প্রথম ঝলকেই যদি দেখা যায় ছবির নায়কের অপলক দৃষ্টি, তবে অনুমান করা যায় ভবিষ্যতের গর্ভে কী রাখা আছে। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোণ‘-এর ফার্স্ট লুকে সে সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুললেন টলিপাড়ার এই মুহূর্তে এক ও অদ্বিতীয় নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
[ সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেনের ডাক না পেয়ে আক্ষেপও ছিল সুপ্রিয়া দেবীর ]
চশমার ওপারে দৃশ্যমান একটি চোখ। ধূসর মণি। যেন চোখের পলক পড়ে না। এ ছবি কার? না বাংলা সিনেমার দর্শককে তা ধরিয়ে দিতে হয় না। দৃষ্টি না থাকার ভিতরেও যে শূন্য দৃষ্টি থাকে, একমাত্র তুখড় অভিনেতাই তা তুলে ধরতে পারেন। সেটাই তাঁর স্বাক্ষর। বাঙালি মাত্রই জানেন নিঃসন্দেহে এ চোখ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রথম ঝলক। সেখানেই এই ধূসর চোখে অপলক দৃষ্টিতে ধরা দিলেন তিনি। প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ‘চোখের পলক পড়বে না আপনার, এমনই রুদ্ধশ্বাস এক অচেনা প্রেমের গল্প দৃষ্টিকোণ।’ সত্যিই ছবির প্রথম ঝলক থেকেই চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। বরাবর নিজের ইমেজ ভাঙতে ভালবাসেন প্রসেনজিৎ। একদা বাংলা সিনেমার ‘চকোলেট বয়’। কিন্তু ঠিক সময়ে নিজের খোলস ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন। যেন শুরু হয়েছে তাঁর অন্য যাত্রা। আর সেখানে তিনি নিজেকে ভেঙেচুরে একাকার করছেন। একজন পরিণত অভিনেতার যেরকম নীরিক্ষা অভিমুখী হওয়া উচিত, প্রসেনজিৎ মনোযোগী সেদিকেই। এ ছবিতেও তিনি যে সেরকমই একটি চরিত্র বেছে নিয়েছেন তার ইঙ্গিত মিলল।
শুটিং পর্ব থেকেই পরিচালক ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন, প্রসেনজিতের অভিনয় এ ছবির সম্পদ হতে চলেছে। ‘দোসর’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ‘প্রাক্তন’ ছবির পর আবারও একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছিল, এক আইনজীবী ও তাঁর মক্কেলের কাহিনি উঠে আসছে ‘দৃষ্টিকোণ’-এ। সেই দুই চরিত্রেই দেখা যাবে বাংলার সেরা এই অভিনেতা-অভিনেত্রীকে। প্রথম ঝলকেই প্রসেনজিৎ ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন, কৌশিকের ছবিতে নিজেকে নিঙড়েই দিয়েছেন তিনি। আর ঋতুপর্ণা? সে ঝলকের অপেক্ষায় বাংলার দর্শক।
[ উত্তমলোকে আজ খোলা বেণুদির রান্নাঘর ]
The post কৌশিকের ‘দৃষ্টিকোণ’-এ কেমন প্রসেনজিৎ? এল ফার্স্ট লুক appeared first on Sangbad Pratidin.