সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যখন ছোট ছিলেন, কথা বলতে গিয়ে আটকে যেতেন হৃতিক রোশন। চলতি বাংলায় যাকে বলে তোতলা, সেটাই নাকি ছিলেন অভিনেতা। সম্প্রতি নিজের পুরনো দিনের এ সব কথা অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন হৃতিক রোশন। তবে কোনও কারণ ছাড়া নয়। দিন কয়েক আগে তোতলামির জন্য এক ছাত্রকে চূড়ান্ত অপমানের শিকার হতে হয়। সেই ছাত্রেরই পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা।
সম্প্রতি হতিকের এক অনুরাগী টুইটারে তাঁর তুতো ভাইয়ের কথা শেয়ার করেন টুইটারে। লেখেন, ‘তাঁর ভাই ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। কথা বলতে গেলেই হোঁচট খান। তোতলামির সমস্যা রয়েছে তাঁর। কোনও এক একটি বিষয় নিয়ে ক্লাসে প্রেজেন্টেশন দিতে গিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই কথা বলতে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছিলেন। আর তখনই শিক্ষক তাঁকে চূড়ান্ত অপমান করেন। বলেন, তুমি তো ঠিক করে কথাই বলতে পারো না। ক্লাসে প্রেজেন্টেশন দেবে কী?’ এই টুইটেরই উত্তর দেন হৃতিক। বলেন, ‘তোমার ভাইকে বলো, ওই প্রোফেসর আর তার জাজমেন্ট, দু’টোই অপ্রাসঙ্গিক। তোতলামো কখনও বড় স্বপ্ন দেখা থেকে ওকে আটকাতে পারবে না। ওকে বলো, দোষ ওর নয়। কোনও কিছু নিয়ে ওকে লজ্জাও পেতে হবে না। যেসব মানুষ ওকে লজ্জায় ফেলছে ওরা মগজহীন বাঁদর।’
[ আরও পড়ুন: পোশাকের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে স্তন, নেটদুনিয়ায় সমালোচনার শিকার মালাইকা ]
এরপরই নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন অভিনেতা। বলেন, তিনি যখন ছোট ছিলেন, তখন তাঁরও তোতলামির সমস্যা ছিল। দিনের পর দিন এর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি। স্পিচ থেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়েছেন। একই কথা বলেছেন হৃতিকের বোন সুনয়নাও। তিনি বলেছিলেন, হৃতিকের যখন ১৩ বছর বয়স, তখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়তেন তিনি। কখনও কখনও বাথরুমেও চলত অনুশীলন। সকাল-বিকেল সবসময়ই ওই একই কাজ করতেন হৃতিক। নিজেই নিজের কথা রেকর্ড করতেন, বাজাতেন, শুনতেন। পছন্দ না হলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলত। এভাবেই চলেছিল ২২ বছর। হিন্দির উপর বেশি জোর দিতেন হৃতিক। যে শব্দগুলো তাঁর মনে হত ঠিকভাবে উচ্চারিত হচ্ছে না, সেগুলি একটি বোর্ডে লিখে রাখতেন। সুযোগ পেলেই ওই শব্দগুলো নিজের মনেই বলতেন। এভাবেই নিজের সমস্যাকে জয় করে আজ তিনি বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেতা।
[ আরও পড়ুন: যেন হুবহু জয়ললিতা, নেটদুনিয়ায় প্রশংসিত ‘থালাইভি’র নতুন পোস্টার ]
The post তোতলামির জন্য চূড়ান্ত হেনস্তা কলেজ পড়ুয়াকে, পাশে দাঁড়িয়ে নিজের গল্প শোনালেন হৃতিক appeared first on Sangbad Pratidin.