সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গার্হ্যস্থ হিংসার অভিযোগে বিদ্ধ নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তাঁর দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে সর্বত্র। তারই মাঝে দ্বিতীয় সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ নওয়াজ ঘরনি আলিয়া। দাবি, ছোট ছেলেকে নিজের সন্তান বলে মানতে নারাজ অভিনেতা। এমনকী নওয়াজের মা-ও দ্বিতীয় সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁকে।
২০০৪ সালে নওয়াজের (Nawazuddin Siddiqui) সঙ্গে প্রথম পরিচয়। মুম্বইয়ের একতা নগরে লিভ ইন শুরু করেন দু’জনে। তাঁদের সম্পর্কের সাক্ষী অভিনেতার ভাই শামসুদ্দিন। কারণ, একই বাড়িতে থাকতেন তিনজনে। বছর ছয়েক লিভ ইনের পর ২০১০ সালে বিয়ে করেন। ২০১১ সালে প্রথম সন্তানের মা হন আলিয়া। সেই সময় নওয়াজের আয় বিশেষ ছিল না।
তাই সন্তান প্রসবের খরচ জোগাতে আলিয়া তাঁর মায়ের ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দেন। নওয়াজকে ওই টাকা দিয়ে একটি গাড়িও কিনে দেন। যদিও নওয়াজের দাবি অনুযায়ী প্রথম সন্তান জন্মের পরই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তবে আলিয়ার দাবি, পরবর্তীতে আবার লিভ ইন শুরু করেন দু’জনে। এরপর আলিয়ার কোল আলো করে আসে দ্বিতীয় সন্তান। আলিয়ার দাবি, ছোট ছেলেকে নিজের ছেলে হিসাবে মানতে নারাজ নওয়াজ।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণী তারকা সামান্তার ‘শকুন্তলম’ ছবিতে যিশু সেনগুপ্ত, রাজ পোশাকে পোস্ট করলেন ছবি]
স্ত্রী হিসাবে নওয়াজ কোনওদিনই তাঁকে যথাযথ সম্মান দেননি বলেও দাবি আলিয়ার। আলিয়ার দাবি, ২০১৭ সাল থেকে তাঁরা দু’জনে আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০২০ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন তিনি। তবে ২০২১ সালে মামলা প্রত্যাহার করেন আলিয়া। ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে আরও একবার নওয়াজ ও আলিয়ার দাম্পত্যে ভাঙনের সুর শোনা যায়।
শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে আলিয়া আরও লেখেন, “যেকোনও ধর্মের মানুষই প্রতারক হতে পারেন। বেড়ে ওঠার সময় সঠিক শিক্ষা যাঁরা পান, তাঁরা কখনও এভাবে প্রতারণা করবেন না। তাই সকলকে অনুরোধ ধর্ম দিয়ে মানুষ বিচার করবেন না।” নওয়াজও অবশ্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে পালটা প্রতারণার অভিযোগে সরব। আলিয়া এখনও তাঁর প্রথম স্বামীর বিবাহিতা স্ত্রী বলেই দাবি নওয়াজের।