সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে এলে রগড়ে দেব।’ শনিবার সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ঠিক এভাবেই বিরোধী তারকাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতির সেই বিস্ফোরক মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনয় জগতের তারকাদের একহাত নিলেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। পালটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, বিজেপিতে যোগদান করা ‘শিল্পীরা’ এরপর চুপ কেন?
মার্চের শেষে ‘নিজেদের মতে, নিজেদের গান’ নামের একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। যার মূল কথা “আমি অন্য কোথাও যাব না, আমি এই দেশেতেই থাকব।” অনির্বাণ ভট্টাচার্যর (Anirban Bhattacharya) লেখা সেই গানের ভিডিও তৈরি করেন ঋদ্ধি সেন ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। তাতে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অরুণ মুখোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একঝাঁক টলিউড তারকা। এই গানের প্রসঙ্গেই একান্ত সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “শিল্পীদের বলছি আপনারা নাচুন, গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের জন্য ছেড়ে দিন। নাহলে রগড়ে দেব।” রগড়ে দেব বলতে কী বলতে চাইছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে আবার বলেন, “ওরা জানে আমি কীভাবে রগড়াই।” দিলীপের এই মন্তব্যের পরই প্রতিক্রিয়া দেন শ্রীলেখা।
[আরও পড়ুন: দেবের রোড শো’কে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা জাঙ্গিপাড়ায়, এলাকায় মোতায়েন পুলিশ]
নিজের ফেসবুক ওয়ালে সেই মন্তব্যের স্ক্রিনশটটি তুলে ধরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তারকাদের তুলোধোনা করেন অভিনেত্রী। লেখেন, “বিজেপিতে যোগদান করা ‘শিল্পীরা’ কোথায় গেলেন? আইনি নোটিস পাঠাবেন না? এইবার চুপ কেন? সত্যি বলছি, আপনাদের জন্য আমার বড় করুণা হয়। সকলকে সহানুভূতি জানাচ্ছি। এই লজ্জার হাত থেকে হয়তো তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবেন না। তবে আমাদের মতো বামপন্থীরা সবসময় আপনাদের পাশে আছে।”
উল্লেখ্য, বঙ্গে নির্বাচন শুরুর আগে থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে তারকারা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরেই। কেউ আবার ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মে আস্থা রেখেছেন। তবে শাসকদলের মতো নবান্ন দখলের লড়াইয়ে এবার বিজেপিও এগিয়ে দিয়েছেন তারকাদেরই। সেখানে অনির্বাণদের মতো সরাসরি রাজনীতিতে যোগ না দেওয়া কলাকুশলীরা কেবলমাত্র গানের মাধ্যমে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেই দিলীপ ঘোষের রোষানলে পড়লেন। এই ঘটনার বিরোধিতা করে গণতন্ত্রের ‘সংকট’কেই যেন তুলে ধরতে চাইলেন শ্রীলেখা। সেই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে যোগদানকারীদের শিরদাঁড়া সোজা করার বার্তাও দিয়ে রাখলেন।