সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্র, শনি, রবি। টানা তিনদিন ধরে সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর মামলায় রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আজ, রবিবার DRDO গেস্ট হাউসে ডাকা হয়েছে সুশান্তের বন্ধু তথা ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি (Siddharth Pithani), রিয়ার সহযোগী স্যামুয়েল মিরান্ডা (Samuel Miranda)। রয়েছেন রিয়ার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীও। মনে করা হচ্ছে, চারজনকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন:মোদির বায়োপিকের প্রযোজকের সঙ্গে ড্রাগস চক্রের যোগ! CBI তদন্ত চাইল মহারাষ্ট্র সরকার]
কিন্তু কী কী প্রশ্ন করা হচ্ছে রিয়াকে? সূত্রের খবর,
- খার এলাকার সম্পত্তি কেনার জন্য রিয়া ও সৌভিক যে পরিমাণ অর্থ লোন হিসেবে নিয়েছিলেন। তার চেয়েও বেশি অর্থ কীভাবে ইউরোপ সফরে খরচ করেছিলেন?
- গত তিন বছরে রিয়ার বার্ষিক আয় কত? কীভাবে সেই টাকা তিনি রোজগার করেছিলেন?
- রিয়ার রোজগারের তুলনায় তাঁর জীবনযাপনের খরচ বেশি ছিল। এই জন্যই কি সুশান্তের কার্ডে শপিং করতেন?
- সুশান্তের কার্ডের নম্বর রিয়া স্যামুয়েল মিরান্ডার থেকে চেয়েছিলেন কেন? প্রেমিক সুশান্ত সিং রাজপুতের কাছ থেকে নেননি কেন?
- গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে সুশান্ত মানসিক অসুখে ভুগছিলেন। নভেম্বরে সেকথা তাঁর বোন জানতে পারেন সুশান্ত হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর। দু’মাস তাঁর পরিবারকে কিছু জানানো কেন হয়নি?
- সুশান্ত যখন মানসিক শান্তির জন্য দিদির বাড়িতে গিয়েছিলেন। কেন তাঁকে রিয়া ২৫ বার ফোন করেছিলেন?
- সুশান্তের বাবা যখন ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। তাঁর মেসেজের উত্তর কেন রিয়া দেননি?
- রিয়া ছাড়া আর কে জানতেন সুশান্তকে কখন কোন ওষুধ দিতে হবে?
শোনা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নাকি একাধিকবার বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রিয়া। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। সেই কারণেই সিদ্ধার্থ ও স্যাম্যুয়েলকে সামনে বসিয়ে রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিয়ার দাবি মেনে তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তাও দেওয়া হয়েছে। শোনা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে হিমাচল প্রদেশ, কুর্গ, কেরলে জমির খোঁজ করেছিলেন সুশান্ত। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রিয়া দাবি করেছিলেন, সুশান্ত কুর্গে চলে যেতে চেয়েছিলেন। সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের থেকে জানা গিয়েছিলেন, অর্গানিক ফার্মিংয়ে উৎসাহী ছিলেন অভিনেতা।
[আরও পড়ুন: গড়িয়ার আবাসনে ফ্ল্যাট রয়েছে রিয়া চক্রবর্তীর পরিবারের! কারা থাকেন সেখানে?]
এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর দিন ঘটনাস্থলে দু’টি অ্যাম্বুলেন্স গিয়েছিল। একথা জানাতে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স কো-অর্ডিনেটর বিশাল জানান, ঘটনার পর থেকেই তিনি হুমকি পাচ্ছেন। কোন অ্যাম্বুল্যান্স চালক গাড়িতে মরদেহ তোলার সময় শরীরে প্রাণ ছিল বলে দাবি করেছেন, তা তিনি জানেন না। ঘটনাস্থলে প্রথমে অ্যাম্বুল্যান্স চালক সাহিল গিয়েছিলেন। তাঁর স্ট্রেচার ভাঙা থাকায় পুলিশের কথায় দ্বিতীয় অ্যাম্বুল্যান্স চালক অক্ষয় গাড়ি নিয়ে যান। অক্ষয়ের দাবি, সুশান্তের দেহের কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। শুধুমাত্র গলায় দাগ ছিল।
The post রবিবারও রিয়াকে সিবিআইয়ের ম্যারাথন জেরা, কোন কোন প্রশ্নের উত্তর চাইছে সিবিআই? appeared first on Sangbad Pratidin.