সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেমা, সংসার, নবাব পরিবার। দুই সন্তানকে নিয়ে সুখের ঘরকন্না সইফ-করিনার। জেহ আর তৈমুর তাঁদের নয়নমণি। বড়দাদা তৈমুর সম্প্রতি সাত বছরে পা দিয়েছে। নবাবপুত্তুর তৈমুর জন্মেই সেলেব তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছে। বয়স মাত্র সাত। আর তাতেই এই পুঁচকের ভক্ত-সংখ্যা অনায়াসে টেক্কা দেবে বলিপাড়ার যে কোনও হেভিওয়েট স্টারকে। লক্ষ টাকার ওই হাসি এবং দুষ্টু-মিষ্টি কাণ্ড-কারখানাতে বাজিমাত করেছে আদরের ‘টিম’। থুড়ি তৈমুর। আর এত উন্মাদনা কিন্তু নজর এড়ায়নি তার। অতঃপর মাঝেমধ্যেই মা করিনাকে প্রশ্ন করেন, “আমি কি ভিআইপি?”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করিনা কাপুর খান নিজেই সেই মজার কথা জানিয়েছেন। তৈমুর নাকি মাঝেমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞেস করে, সে ভিআইপি কিনা! ছেলের এই অবুঝ প্রশ্নের উত্তরে কী বলবেন, ভেবে পান না অভিনেত্রী। হাজার হলেও বাচ্চামন। কী করেই বা তাকে বোঝাবেন তিনি! তবে করিনা কিন্তু সন্তানদের সেলেবসুবো চালচলনে অভ্যস্ত করতে নারাজ! তাই তৈমুরকে তিনি বোঝান যে, মা-বাবা তারকা বলেই তাদের ঘিরে অনুরাগীদের এত কৌতূহল। তাই সবসময়ে লাইমলাইটে থাকে সে আর তার ছোটভাই জেহ।
[আরও পড়ুন: ‘তু মেরা হিরো…’! বছরশেষে রাজকে বগলদাবা করে শুভশ্রীর প্রেম]
একাধিকবার দেখা গিয়েছে যে, পাপারাজ্জিদের দেখলেই বিরক্ত হয় তৈমুর। কীভাবে সামলায় সে? এপ্রসঙ্গে করিনা জানালেন, “ও এখন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আমি বা সইফ, আমরা কেউ কখনোই শেখাই না যে মুখ লুকোও, এটা কোরো না ওটা করো…। ওটা খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে! তবে তৈমুরকে বুঝিয়ে দিয়েছি যে, মা-বাবা তারকা বলেই পাপারাজ্জিরা ওর ছবি তোলেন।” এরপরই করিনার সংযোজন, “তৈমুরকে বলি- তুমি ভিআইপি নও। তোমার মা-বাবা হয়তো সেই জায়গায় পৌঁছেছেন। কিন্তু তুমি কেউ হয়ে ওঠোনি এখনও। আমরা শুধু ওকে বলেছি, ফটোগ্রাফার দেখলে মুখ নিচু করে হেঁটে চলে যাও। তৈমুরকে শিখিয়েছি নিজের পথ নিজে বেছে নাও। আমরা কিছু চাপিয়ে দিই না ওর উপর।”