অভিরূপ দাস: কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তাঁর শরীরে রক্তশোধনের প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। হিমোডায়ালিসিস প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু ডায়ালিসিস হলেও ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা মাত্র ৭ বলেই জানা গিয়েছে। বর্ষীয়ান পরিচালকের মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতাও কমেছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
শোনা গিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে তরুণ মজুমদারের কিডনির সমস্যা ছিল। এছাড়াও ৯২ বছরের পরিচালক ডায়াবেটিস এবং ফুসফুসের সমস্যা ছিল। এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিম বর্ষীয়ান পরিচালককে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক বিমান রায়।
[আরও পড়ুন: ‘গুড গুডার গুডেস্ট’, বাংলা ধারাবাহিকের ভুল ইংরাজি নিয়ে নেটদুনিয়ায় হাসির রোল]
চিকিৎসকরের সবরকম চেষ্টা সত্ত্বেও গত ২৪ ঘণ্টায় তরুণ মজুমদারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। হিমোডায়ালিসিস পদ্ধতির মাধ্যমে তাঁর দেহের ক্ষতিকারক পদার্থ রক্ত থেকে পরিশোধন করে শিরা দিয়ে আবার তা শরীরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার জন্য কিংবদন্তি পরিচালককে টি-পিস সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। এছাড়া হিমোডায়ালাইসিস করতে গেলে রোগীকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন হয়। যেমন, ব্লাড থিনার বা রক্ত পাতলা করার ওষধ, হরমোনের ওষুধ, ভিটামিন জাতীয় ওষুধ। পরিচালককে এগুলো সবই দেওয়া হচ্ছে। ডাকলে তাঁর সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, কেমিস্ট্রির ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল তরুণ মজুমদারের। শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ নামে টিম তৈরি করে সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন তিনি। পরে ‘যাত্রিক’ থেকে বেরিয়ে নিজে পরিচালনার কাজ শুরু করেন। মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবন সিনেমার পর্দায় তুলে ধরেন ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’র মতো সিনেমার মাধ্যমে। একাধিক জাতীয় পুরস্কার হয়েছে তরুণ মজুমদারে ঝুলিতে। পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান। কিংবদন্তি পরিচালকের আরোগ্য কামনায় প্রর্থনা করছেন তাঁর অনুরাগীরা।