সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে মানুষটার হাত ধরে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই মানুষটা আর নেই। তাঁকে শেষ দেখা দেখতে কলকাতায় ছুটে এলেন বিদ্যা বালান (Vidya Balan)। চোখের জলে জানালেন পরিচালক গৌতম হালদারকে (Gautam Haldar) বিদায়।
শুক্রবার সকালে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক ও নাট্যবক্তিত্ব্য গৌতম হালদার (Gautam Haldar)। গৌতমের হালদারের হাত ধরেই বড়পর্দায় পা রাখেন বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। ২০০৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ভালো থেকো’। ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, জয় সেনগুপ্ত, দেবশংকর হালদার, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অন্ধকার রাতের বুক চিরে হাজির ‘পেত্নি’, টিজারেই হাড়হিম হওয়ার জোগাড় ]
অভিভাবকের মতো পরিচালকের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ভেঙে পড়েন বিদ্যা। সুদূর মুম্বই থেকে ছুটে আসেন কলকাতায়। ক্রিম রংয়ের চুড়িদার পরেছিলেন অভিনেত্রী। চোখে ছিল কালো চশমা। তার আড়ালেই যেন চোখের জল লুকিয়ে রাখেন। অভিনেত্রীর পাশে চৈতি ঘোষালকেও দেখা যায়।
উল্লেখ্য, শুধু সিনেমা নয়, নাট্যজগতের উজ্জ্বল তারা ছিলেন গৌতম হালদার। একই সঙ্গে অভিনয় ও নাট্য পরিচালনায় দক্ষতা ছিল তাঁর। গৌতম হালদারের ‘রক্তকরবী’ নাটকটি জনপ্রিয়তা শীর্ষে ছিল। এই নাটকেই নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল। “আমি গৌতমদার রক্তকরবীর নন্দিনী। গৌতমদার থেকে পাওয়া এই সুযোগ নিজেকে তৈরি করার পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে কাজ করেছে। গৌতমদা বলতেন, রক্তকরবী নানা দলের সঙ্গে হতে পারে, কিন্তু নন্দিনী একমাত্র তুমিই হবে। এটা আমার কাছে খুব বড় পাওনা। আমি শোকস্তব্ধ”, বলেন অভিনেত্রী।