সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'নারী দেহ শুচি কিনা', এই ট্যাবু বহু যুগ ধরে আমাদের সমাজে প্রচলিত। রজঃস্বলা কিংবা ঋতুমতীদের মন্দিরের চৌকাঠের ওপারে যাওয়ার কোনও অধিকার নেই। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যুগ যুগ ধরে এহেন নিয়ম চলে আসছে। যুগ পালটালেও এখনও কোথাও কোথাও প্রচলিত প্রথার জগদ্দল পাথরগুলোর ভিত নড়েনি! খোদ এষা দেওলকেও নিজের বাড়িতেই ঋতুমতী হওয়ার সময়ে কড়া নিয়ম মেনে চলতে হত। যে ধারা কিনা আজও চলে আসছে তাঁর বাড়িতে।
হেম-ধর্মেন্দ্রর কন্যা যেহেতু স্টারকিড হওয়ার সুবাদে শৈশব থেকেই লাইমলাইটে এষা দেওল। তবে তারকাসন্তান হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে বাড়িতে কড়া শাসনে থাকতে হত। এমনকী ঋতুস্রাব হলেই প্রতিমাসে সমস্ত ছুঁৎমার্গ মেনে চলতে হত। ঠাকুমা ভীষণই কড়া ছিলেন। বেড়ে ওঠার সময়ে ঋতুস্রাব নিয়ে বাড়িতে কোনও আলোচনা করার অনুমতি ছিল না এষা দেওলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, "আমাদের মন্দিরে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। ঠাকুরঘরে গিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাও করতে পারতাম না। ঋতুস্রাব শেষ হলে তারপর চুলে শ্যাম্পু করে এসব করার অনুমতি ছিল। এতটাই গোড়া নিয়মকানুন ছিল। যে বাড়িতে থাকতে হবে, সেখানকার নিয়মনীতি মেনে চলার সিদ্ধান্তকে আমি যদিও সম্মান করি।"
ছবি: এক্স হ্যান্ডেল
এষা জানিয়েছেন, "তাঁর বাড়িতে বন্ধুবান্ধবরা এলে ঠাকুমা সিসিটিভি ক্যামেরার মতো সব পর্যবেক্ষণ করতেন। কারও স্বল্পবসনা হয়ে আমাদের বাড়িতে ঢোকার অনুমতি ছিল না। লেট নাইট পার্টি করারও ছাড়পত্র ছিল না।" এষার মন্তব্য, "স্কুল থেকেই যৌনশিক্ষার পাঠ পেয়েছেন তিনি। অনেক বাবা-মায়েরাই রয়েছেন যাঁরা সেক্স এডুকেশন নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করতে লজ্জা পান। তবে এটা তো জীবনের অঙ্গ। তাই যৌনশিক্ষার পাঠ খুব জরুরী।"